Kode Iklan atau kode lainnya

সহকারী অধ্যাপক নিয়োগেও সীমাহীন দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে WBCSC চেয়ারম্যান দীপক করের পদত্যাগ এবং তদন্তের দাবি

নিউজ ডেস্ক: ২০২১ এর নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির শিক্ষকের আকাল ও শিক্ষিত চাকুরীপ্রার্থীদের ক্ষোভের কথা আঁচ করেই মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ক্ষমতায় এলে 'দ্বিগুণ শিক্ষক' নিয়োগ করবেন। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণের লক্ষ্যে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার সুবিধার্থে ১০ লক্ষ টাকার ক্রেডিট কার্ড চালু করলেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগ প্রশংসনীয় হলেও উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পর ছাত্র-ছাত্রীদের কর্মসংস্থান আদৌ হবে কিনা - সেই নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছে। রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি যখন শিক্ষক-শিক্ষিকার অভাবে ধুঁকছে, তখন ২০১৮ সালের কলেজ সার্ভিস কমিশনের মেধা তালিকাভুক্ত প্রায় ৬০০ প্রার্থীকে সরকার এখনও নিয়োগপত্র দেয়নি।

অংক ও সাওতালি বিষয়ে মেধা তালিকায় নাম না থাকলেও প্রার্থীদের নিয়োগ করেছে কমিশন। মেধাতালিকায় অবশিষ্ট প্রার্থীদের তুলনায় কম যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীরা মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে কমিশনের স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি এবং কম যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ইন্টারভিউতে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিপুল পরিমাণ নাম্বার রেখে, কাছের মানুষদের দেওয়ার কারণে। সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাচারিতা এভাবেই কমিশন নিয়োগের  অস্বচ্ছতা বজায় রেখেছে এবং এখনো পর্যন্ত যারা চাকরি পেয়েছে, কোন কলেজে চাকরি পেয়েছে, তাদের কলেজে পড়ানোর আদৌ যোগ্যতা আছে কিনা সেটুকুও কমিশন প্রকাশ করেনি। এই দুর্নীতিপূর্ণ নিয়োগ-এর বিরুদ্ধে মেধাতালিকা প্রার্থীরা বহুবার রুখে দাঁড়িয়েছে; আজও এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কমিশনের চেয়ারম্যান পদত্যাগ দাবি করে এবং সম্পূর্ণ নিয়োগ দুর্নীতির যথাযথ তদন্তের দাবিতে ২৫ মে বুধবার, ২০২২ কলেজ স্ট্রিটের চৌমাথায় বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। 

ভারতীয় সংবিধান উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্ট বহুবার নির্দেশ দিয়েছে সরকারি নিয়োগ সর্বোত্তম প্রার্থীর নিয়োগ জনস্বার্থে সঙ্গে জড়িত এবং জনপরিষেবায় যুক্ত। কিন্তু কলেজ সার্ভিস কমিশন আইন ভেঙে, সংবিধানের তোয়াক্কা না করেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে; নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রতিটি দিক সুচতুর ভাবে গোপন রাখা হয়েছে। স্কুল সার্ভিসের যোগ্য অপেক্ষামান তালিকায় সকলকে নিয়োগের কথা হাইকোর্টে রাজ্য সরকার জানিয়েছে। কিন্তু সিএসসির দুর্নীতির কারণে যাবতীয় দিক থেকে এগিয়ে থাকা সত্ত্বেও মেধা তালিকার শেষের দিকে ঠেলে দেওয়া প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ভিন্ন পথ নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বর্তমানে রাজ্যের প্রত্যেকটি নিয়োগে দুর্নীতি, স্কুলের নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তের মতোই আমরা মনে করি মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট কলেজ সার্ভিসের নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তও সি বি আই এর হাতে তুলে দেবে। 

কলেজ সার্ভিস কমিশন-এর দুর্নীতিপূর্ণ, মেধাতালিকা বহির্ভূত, অস্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নম্বর প্রকাশ না করা, নির্ধারিত শূন্যপদের বাইরে নিয়োগ করা, বহু প্রার্থীকে দুবার কাউন্সেলিং ও চাকরির সুযোগ দেওয়া, কমিশনের নিজস্ব আইন ভেঙে নিয়োগ সম্পন্ন করা প্রভৃতি দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি করছি- 

১. কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক কর কে অপসারণ করতে হবে। 

২. ২০১৮ সালের অধ্যাপক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করাতে হবে। 

close