নিউজ ডেস্ক: ডিএ মামলায় বড় জয় পেয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীরা। ডিএ কর্মীদের অধিকার, অবিলম্বে তা মিটিয়ে দিতে হবে! এমনই নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও রাজ্যের তরফে সরাসরি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে হাই কোর্টের রায় মেনে বকেয়া ডিএ না মেটালে ফের বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়া হবে জানাল কো-অর্ডিনেশন কমিটি। কলকাতা হাই কোর্টের সর্বশেষ রায়ে কর্মচারীদের দাবির স্বীকৃতি মিললেও লড়াই কিন্তু এখানেই শেষ নয় বলে জানিয়েছে কো-অর্ডিনেশন কমিটি।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ওই সংগঠনের তরফে এক বিবৃতিতে মঙ্গলবার এই দাবি তুলে আগামী দিনে হাই কোর্টের রায় কার্যকর করার দাবিতে ফের আন্দোলনে নামার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
গত সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে একাধিক বিষয়ে কথোপকথন করেন তিনি। পেট্রোল ও ডিজেলের ভ্যাট কমানোর ঘোষণা দিলেন। তবে ডিএ সংক্রান্ত কোনো রকম ঘোষণা করলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই মামলাটি বর্তমানে আদালতে চলছে। আমি এই সম্পর্কে কোনো রকম মন্তব্য করব না।”
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য প্রসঙ্গে ডিএ মামলার আইনজীবী ফিরদৌস শামিমকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “ডিএ মামলা এখন কোনোভাবেই আর আদালতের বিচারাধীন বিষয় নয়। মামলার রায় হয়ে গেছে। ডিএ মামলা বিচারের পূর্ণতা পেয়েছে। এবং তা কর্মচারীদের পক্ষেই ঐতিহাসিক রায় গেছে।”
তিনি আরও বলেন, হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সরকার উচ্চতর আদালতে যেতেই পারে। কিন্তু তা বলে কোনোভাবেই ডিএ মামলাকে বিচারাধীন বিষয় বলা যুক্তিসঙ্গত নয়।
রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয়শঙ্কর সিংহ বলেন, ‘রাজ্যের বিগত বামফ্রন্ট সরকার শুধু নীতিগত ভাবেই নয়, রোপা-২০০৯-এর মাধ্যমে বকেয়া ডিএ-র দাবিকে কর্মচারীদের আইনসিদ্ধ মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতিও দিয়েছিল। এর আগে স্যাট এবং পরে হাই কোর্টের রায় আসলে বিগত বামফ্রন্ট সরকারের এই স্বীকৃতিকেই আরও এক বার মনে করিয়ে দিল বর্তমান রাজ্য সরকারকে। বর্তমান রাজ্য সরকার কর্মচারীদের এই অধিকারকে অস্বীকার করে ডিএ-কে ‘দয়ার দান’ বলে অভিহিত করেছিল। যার বিরুদ্ধে রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি শুরু থেকেই আন্দোলনে নেমেছে। নেতৃত্বের গ্রেফতার, রাজ্যের দূরবর্তী জেলার প্রত্যন্ত প্রান্তে হয়রানিমূলক বদলি সত্ত্বেও সেই আন্দোলন চলছে। আগামী দিনেও চলবে।’
কর্মচারী সংগঠনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বহু লড়াইয়ের মাধ্যমে অর্জিত এই অধিকার ফিরিয়ে আনতে সেই লড়াই, সংগ্রাম, আন্দোলনই একমাত্র পথ। বকেয়া মহার্ঘভাতা (ডিএ) আদায়ের এই লড়াইও আমাদের রাস্তায় নেমেই লড়তে হবে।’
