নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে চাপে রয়েছে রাজ্য। এই মুহূর্তে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা চলছে। রাজ্য জুড়েও একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে। এই অবস্থায় ক্ষত মেরামতে লেগে পড়ল রাজ্য শিক্ষা দপ্তর।
চলতি বিতর্কের মাঝে দাড়িয়ে এসএসসি-র গ্রুপ ডি ও নবম-দশমে শিক্ষক পদে যারা চাকরি পেয়েছেন অথচ ভুয়া নিয়ােগ, তাদের প্রত্যেকের চাকরি বাতিল করা হচ্ছে। সেই জায়গায় ন্যায্য অর্থাৎ যােগ্যতা অনুসারে প্রাপকদের কীভাবে চাকরিতে নিযুক্ত করা যায়, প্রক্রিয়া শুরু করে দিল রাজ্যের শিক্ষা দফতর। নবান্ন সূত্রে খবর, এ ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
আইনি প্রক্রিয়া মেনে কীভাবে জরুরিভিত্তিতে হাই কোর্টে পরবর্তী শুনানির আগেই ভুয়া নিয়ােগের জায়গায় যোগ্যদের নিযুক্ত করা যায়, নিরপেক্ষভাবে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে শিক্ষা দফতর প্রাথমিক সমীক্ষা শেষ করে নবান্নকে বিস্তারিত জানিয়ে দেবে। প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্য চাইছে আইনি প্রক্রিয়া যেমন চলছে চলুক কিন্তু ভুয়া নিযুক্তদের সরানাের ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেআইনি বা ভূয়া নিয়ােগ যেগুলি চিহ্নিত হয়েছে, তাদের সরিয়ে ওই জায়গায় যােগ্যসের নেওয়া হবে। নিরপেক্ষভাবে সেই চিহ্নিতকরণের কাজও শেষ করা হবে। রাজ্য বিষয়টিতে আর জল গড়াতে দিতে চাইছে। আর তাই কীভাবে যােগ্যদের চাকরিতে আনা যায়, সব সিদ্ধান্ত হবে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই। সেই প্রক্রিয়া শুরুও হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
যদিও শিক্ষা দফতর থেকে কিছু জানানাে হয়নি। তবে নবান্ন স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে যে, যদি কোনও ভুল হয়ে থাকে, সেগুলি চিহ্নিত করা হােক। কলকাতা হাই কোর্টের পরবর্তী শুনানির আগেই সেই কাজ করতে হবে। উল্লেখ্য, বিচারপতি তালুকদার ও বিচারপতি আনন্দকুমার মুখােপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে পরবর্তী শুনানি আগামী ১৩ মে। অর্থাৎ রাজ্য সরকারের হাতে এখনও কুড়ি দিন সময় রয়েছে। এসএসসি-র বিভিন্ন নিয়ােগে বেনিয়ম সংক্রান্ত যাবতীয় মামলা চলছে একই ডিভিশন বেঞ্চে।