Kode Iklan atau kode lainnya

ব্রাত্যর আমলে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়নি, পার্থকে নিশানা করে বড় দাবি কুণালের

নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে 'বেনিয়ম' নিয়ে সরাসরি নিশানায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিয়োগের অনিয়ম নিয়ে এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কোটেই বল ঠেললেন কুণাল ঘোষ। ব্রাত্য বসুর আমলে শিক্ষক দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ ওঠেনি। তাঁর আমলে ৯৯ শতাংশ কাজই ঠিকভাবে হয়েছে। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিষয়টি ভালোভাবে বোঝাতে পারবেন। কুণাল ঘোষ বললেন, 'এসব ঘটনা ব্রাত্য বসু জমানা ঘটেনি। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই যাবতীয় ব্যাখ্যা দিতে পারবেন'।

স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগে কেন এই 'বেনিয়ম'? এদিন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'একটা সময়ে শিক্ষকদের একাংশের বিক্ষোভ চলছিল। সেই ধর্নার পর মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ১০ জনের একটি কমিটি গঠন করে দেন। যদি কোথাও কোনও অভিযোগ থাকে, মুখ্যমন্ত্রীর দিক থেকে যা করার , তিনি করে দিয়েছিলেন। এরপরেও যদি কিছু থাকে, সেটা প্রশাসনিক ব্য়াপার, আমার জানার কথা নয়'। সঙ্গে যোগ করেন, 'এসব ঘটনা ব্রাত্য বসুর জমানায় ঘটেনি। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই যাবতীয় ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। শুক্রবার কুণাল দাবি করেন, শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত যে অভিযোগ উঠেছে, তার কোনওটাই নয়া শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যের আমলে হয়নি। বরং ব্রাত্য যতদিন শিক্ষামন্ত্রী আছেন, ততদিন ৯৯ শতাংশ কাজই ঠিকভাবে হয়।'

কুণাল ঘোষ এদিন এসএসসি দুর্নীতি মামলা নিয়ে বলেন, 'যে সমস্ত অভিযোগ উঠে আসছে, সেই সমস্ত কেলেঙ্কারি ব্রাত্য বসুর জমানায় হয়নি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় দলের মহাসচিব। তিনি তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। যদি কারও কোনও প্রশ্ন থাকে তাহলে পার্থদাকে বলুন।'

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়কও জেরার মুখে। এই অবস্থায় কুণাল ঘোষের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। 

নতুন এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করবে সিবিআই, এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। বিচারপতির আরও নির্দেশ, সিবিআই চাইলে যে কোনও সামাজিক এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। শান্তিপ্রসাদ সিনহা ও জড়িত অন্যান্য সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আজই এফআইআর দায়ের করে কালকের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশের নির্দেশ। 

মন্ত্রীর চেম্বারে উপদেষ্টা কমিটির কোনও মিটিং হয়েছিল কিনা তা তদন্ত সাপেক্ষ। মন্ত্রী বৈঠক সম্পর্কে জানতেন কিনা সিবিআই তা খতিয়ে দেখতে পারে। শান্তিপ্রসাদ সিন্হার ভূমিকা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া আদালতের। শান্তিপ্রসাদ বারবার বলেছেন উপদেষ্টা কমিটির কোনও মিটিং হয়নি। তিনি নির্লজ্জের মত মিথ্যে বলেছেন। উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে শান্তিপ্রসাদের বক্তব্য মিলছে না। দেখা যাচ্ছে কমিটির অন্তত দুটি মিটিং হয়েছিল, তার বেশিও হতে পারে। মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 

close