Kode Iklan atau kode lainnya

লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকা ঢাললেও ডিএ দিতে নারাজ রাজ্য, ঝুলেই রইল ডিএ মামলার শুনানি

 

নিউজ ডেস্ক: আদালতে সময় চাইল রাজ্য। ফলে ফের পিছিয়ে গেল রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের ডিএ মামলার শুনানি৷ দীর্ঘদিন ধরে এই মামলা স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল ঘুরে ফের কলকাতা হাইকোর্টের বিচারাধীন৷ গতকাল সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু সময় চাইলেন রাজ্য সরকারের পক্ষের আইনজীবী ৷ ফলে এদিনও ঝুলে রইল ডিএ মামলার শুনানি।

এই নিয়ে রাজ্য সরাকারি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল জানান, ২০১৬ সালে তাঁরা মামলাটি করেছিলেন। আজ ২০২২। এই ছ'বছরে গঙ্গা দিয়ে অনেকটা জল গড়িয়েছে। ট্রাইবুনাল থেকে হাইকোর্ট। আবার হাইকোর্ট থেকে ট্রাইবুনাল। রাজ্য সরকার এই মামলায় হার নিশ্চিত জেনে কেবল সময় নষ্ট করছে। সরকার যতটা আগ্রহী লক্ষ্মী ভাণ্ডারের টাকা দিতে, যতটা আগ্রহী বারোয়ারি পুজোর ক্লাবগুলিকে টাকা করে দিতে, এবং বিভিন্ন খেলে-মেলা খাতে টাকা খরচ করতে, ততটাই উদাসীন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দিতে।  সরকারি কর্মচারীদের ডিএ-র টাকা নিয়েই সরকার বিভিন্ন জায়গায় খরচ করছে। এদিকে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা মাত্র ৩% ডিএ-র উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। যেখানে ভারতের অধিকাংশ রাজ্যে ৩১ শতাংশ ডিএ মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মামলা তাঁরা চালিয়ে যাবেন। সরকার বাধ্য হবে ডিএ বাড়াতে। হাইকোর্টের রায়কে তো আর অবমাননা করতে পারেন না।  ভারতবর্ষের কোথাও দেখতে পাওয়া যাবে না, সরকারি ডিএ মামলা ছ'বছর ধরে চলছে। সুপ্রিম কোর্টে এখনও মামলা ওঠেনি। তাতেই এত বছর ধরে আটকে রয়েছে মামলা। রাজ্যের তরফ থেকে নানারকম যুক্তি দিয়ে মামলা পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে বছরের পর বছর।

কর্মচারীদের তরফের আইনজীবী ফিরদৌস সামিম বলেন, "মূল্যবৃদ্ধির বাজারে সরকারি কর্মচারীদের তাঁদের আইনসিদ্ধ অধিকার না দেওয়া বেআইনি । আর রাজ্য সরকার দীর্ঘদিন ধরে সেটাই করে চলেছে।" 

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সাল থেকে ডিএ মামলা কলকাতা হাইকোর্ট থেকে একাধিকবার স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল ঘুরে ফের হাইকোর্টে বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে । কিন্তু সেখানেও শুনানিতে অহেতুক বারবার সময় নষ্ট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

close