Kode Iklan atau kode lainnya

গ্রুপ-ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা কে তদন্ত করবে? বিরল সংঘাত কলকাতা হাইকোর্টে

নিউজ ডেস্ক: গ্রুপ-ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ ঘিরে কোর্টে বিরল সংঘাত কলকাতা হাইকোর্টে। নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কে তদন্ত করবে, তাই নিয়ে মঙ্গলবার বিরল সংঘাত পরিস্থিতির সাক্ষী থাকল কলকাতা হাইকোর্ট। কিছু দিন আগেই একক বিচারপতির সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। তদন্তের জন্য একটি অনুসন্ধান কমিটি গড়ে দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। সেই কমিটির কাজে অসন্তুষ্ট সিঙ্গেল বেঞ্চ মঙ্গলবার সকালে ফের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। 

এরপর তড়িঘড়ি রাজ্য সরকার সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করলে ডিভিশন বেঞ্চর দ্বারস্থ হয়। আদালত রাজ্যের আবেদনে সাড়া দিয়ে সেই নির্দেশের ওপর দুই সপ্তাহের স্থগিতাদেশ জারি করল। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রকুমার সামন্ত’র ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, একক বেঞ্চ আগামী দুই সপ্তাহ এই বিষয়টি নিয়ে কোনও শুনানি করতে পারবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে। এভাবে বিচারবিভাগীয় শৃঙ্খলা নষ্ট হয় বলে অভিমত দিয়ে ডিভিশন বেঞ্চ ২১ ফেব্রুয়ারি মামলাটি শুনবে বলে জানিয়েছে।

এর আগে স্কুল সার্ভিস কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, যে ৫৭৩ জন গ্রুপ-ডি কর্মীর চাকরি নিয়ে অভিযোগ, তাদের চাকরির সুপারিশ তারা করেনি। এরপরেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এক্ষেত্রে সম্ভাব্য আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। যা পরে রাজ্য চ্যালেঞ্জ করলে ডিভিশন বেঞ্চ তা খারিজ করে। পরিবর্তে তারা গড়ে দেয় চার সদস্যের বিচারবিভাগীয় অনুসন্ধান কমিটি। যদিও নির্দিষ্ট দুই সপ্তাহের সময়সীমায় ওই কমিটি কী করেছে, তার কোনও ব্যাখ্যা কমিটি এদিন দিতে পারেনি আদালতে। তখনই ক্ষুব্ধ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কমিটি বাতিল করে ফের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। চার সপ্তাহের মধ্যে সিবিআইকে প্রাথমিক রিপোর্ট দিতে বলে কমিটির হেফাজতে থাকা নথি পাহারা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীকেও নির্দেশ দেন। কিন্তু তাঁর ওই নির্দেশ রাজ্য সরকার অতি দ্রুততার সঙ্গে এদিনই ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ করে। সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ হয়। 

যদিও মামলাকারীরা প্রশ্ন তোলেন, এই মামলায় রাজ্য কেন এত আগ্রহ দেখাচ্ছে?  প্রসঙ্গত, এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজ্যে প্রায় ১৩ হাজার কর্মপ্রার্থীর চাকরি হয়েছে। তার মধ্যে আপাতত ওই ৫৭৩ জনের তথ্য মামলা সূত্রে আদালতে পেশ হলে তাঁদের চাকরি বাতিল হয়। কারণ, এদের সবাইকে মামলায় যুক্ত করা হলেও একক বিচারপতির বেঞ্চের সামনে তাঁরা কেউ আসেননি। এমনকী, তাঁরা আত্মপক্ষ সমর্থনে কিছুই জানাননি। সেই কারণে প্রাপ্ত বেতনও তাঁদের ফেরত দিতে বলা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, ডিভিশন বেঞ্চ ওই নির্দেশ বাতিল করে এদিন তাঁদের চাকরিতে বহাল রাখার পক্ষেও নির্দেশ দিয়েছে। 

close