নিউজ ডেস্ক: শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁরা স্বেচ্ছায় কয়লা খনি প্রকল্পের জন্য জমি দিয়েছেন, তাঁদের হাতে জমির পাট্টা ও চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফে।
নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী নিজে এক ছোট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৬ জন জমিদাতার হাতে জমির পাট্টা ও চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন। বুধবার সবমিলিয়ে ২০৩ জনের হাতে এই জমি দেওয়ার ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া হয়। বাকিদের সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের থেকে দেওয়া হয়।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "যাঁরা জমি দিচ্ছেন, তাঁদের জন্য আমরা জমির বদলে জমি, বাড়ি স্থানান্তরের জন্য টাকা এবং বাড়ি তৈরি করতে পাঁচ লাখের জায়গায় সাত লাখ টাকা এবং সেই সঙ্গে পরিবার পিছু একটি করে চাকরি দেওয়া হবে।"
তিনি আরও বলেন, "শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দেওয়া হবে। যাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা বেশি তিনি গ্রুপ সি পাবেন, যাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা কম তিনি গ্রুপ ডি পাবেন। মহিলাদেরও আমরা বিভিন্ন সামাজিক কাজে যুক্ত করব। সুতরাং, প্রায় এক লক্ষাধিক চাকরি হবে। সেই সঙ্গে এটিকে কেন্দ্র করে ইস্পাত শিল্প, বিদ্যুৎ শিল্প, বৈদ্যুতিন শিল্পও বেড়ে উঠবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় ছেলে মেয়েরাই চাকরি পাবে। আমরা দেখব স্থানীয় কোনও পরিবার যেন চাকরিহীন না থাকে।"
রাজ্যের শিল্পবিরোধী যে ভাবমূর্তির অভিযোগ বার বার বিরোধীদের তরফে করা হচ্ছিল। এবার সেই বদনাম ঘোচাতে মরিয়া রাজ্য সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারেবারে বলতে শোনা গিয়েছিল এবার তাঁর লক্ষ্য – শিল্প ও কর্মসংস্থান। আর এই স্বপ্ন পূরণ করতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রথম নজর লাল মাটির জেলা বীরভূমে। নজরে দেউচা পাঁচামির খোলামুখ খনি। এই প্রকল্প একবার চালু হয়ে গেলে, রাজ্যে শিল্পের পাশাপাশি প্রচুর কর্মসংস্থানও হবে বলে আশাবাদী মমতা।