Kode Iklan atau kode lainnya

থামছেন না মদন: দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ মদন মিত্রের


নিউজ ডেস্ক: আরও সুর চড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। আপনার বাড়ির রক্ষীর কাছেও অভিযোগ জানিয়ে আসতে পারি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে সুর চড়ালেন মদন। শনিবারই দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিকে নিয়ে মুখ খুলেছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। এবস্র সরাসরি কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে। 

আগামী দু’মাস সমস্ত রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সমাবেশে রাশ টানার বিষয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ব্যক্তিগত’ অভিমত নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ও শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাক্‌যুদ্ধের জল গড়িয়েছে অনেক দূর। শনিবারই সাংবাদিক বৈঠক করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, কারও কোনও বক্তব্য থাকলে তা বাইরে নয়, দলের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটিকে জানাতে হবে। অন্যথায় ব্যবস্থা নেবে দল। তার পর ‘সাময়িক’ বিরতিতে কুণাল, কল্যাণ— দু’জনেই। যদিও থামছেন না মদন মিত্র। 

শনিবার মদন মিত্র বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার কারণে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের কার্যালয়ে যাওয়া যায় না। অভিষেক এতই ব্যস্ত যে তাঁর কাছে আমাদের মতো সাধারণ কর্মীরা পৌঁছতে পারেন না। তপসিয়ার দলীয় কার্যালয় ভাঙা পড়েছে।’’ এই প্রেক্ষিতে মদনের প্রশ্ন, ‘আমি দলের বিরুদ্ধে বলছি না। কিন্তু কিছু বলার থাকলে তা জানাব কাকে?’ 

এরপর সরাসরি পার্থকে কটাক্ষ করে মদন বলেন, ‘‘তাই উনি যদি আমায় বলে দেন, ওঁর বাড়ির তলায় যে কনস্টেবল থাকেন, তাঁর কাছে দিয়ে যাবেন, আমি সেখানেই দিয়ে আসব।’’

শনিবার ফেসবুকের লাইভ সম্প্রচারে এসে মদন বলেছিলেন, ‘‘শুনছিলাম, যাঁর যা বিক্ষোভ তা দলের মধ্যে বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমার প্রশ্ন, দলের মধ্যে কোথায়, কাকে বলতে হবে। তাঁকে কোন ঠিকানায় পাওয়া যাবে। কারণ কর্মীরা বলছেন, তৃণমূল ভবনে এক মাত্র সুব্রত বক্সী ছাড়া কাউকে পাওয়া যায় না।’’

এর পর রবিবার ফের একই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মদন। এ বার আরও সুর চড়ালেন তিনি। দলের মহাসচিব তথা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির প্রধান কি এ বার এ নিয়ে কড়া হবেন? মদনের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেবে দল? সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। যদিও মদন মিত্রের বক্তব্য নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। 

close