নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে সোমবার প্রকাশিত হয়েছে ২০১৭ সালের প্রাথমিক ‘টেট’ পরীক্ষার ফল। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য একটি সাংবাদিক বৈঠক করে এই ফল ঘোষণা করেন।
পরীক্ষার ১ বছর ১০ দিন পর এই ফল প্রকাশিত হল। বিজ্ঞপ্তি ২০১৭ সালের হলেও বিভিন্ন আইনি জটিলতায় এই পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি পরীক্ষাটি নিতে পারে পর্ষদ।
পরীক্ষার ফল নিয়ে পর্ষদ সভাপতি জানিয়েছেন, প্রাথমিকের টেট পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিলেন ২ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৪৪ জন। তবে পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন ৫৫ হাজার ৮১৮ জন। অসদুপায় অবলম্বন সহ বিভিন্ন কারণে পরীক্ষা বাতিল হয়েছে ১২ জনের। সব মিলিয়ে বৈধ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১ লক্ষ ৯০ হাজারের আশপাশে। তাঁদের মধ্যে টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯ হাজার ৮৯৬ জন। এই পরীক্ষার আদর্শ উত্তরসূত্র বা ‘মডেল আনসার কি’ আগেই ওয়েবসাইটে দিয়েছিল পর্ষদ। তা দেখে প্রায় ৩ হাজার প্রার্থী অভিযোগ জানান। পর্ষদ সেগুলি গ্রহণ করে সমাধানও করেছে।
এই প্রায় ১০ হাজার টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগ কবে হতে পারে? এই প্রশ্নের উত্তরের মানিকবাবু বলেন, টেট-এর সঙ্গে চাকরি দেওয়ার সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই। শূন্যপদ নির্ণয় করে সেগুলি পূরণ করার জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দেয় শিক্ষাদপ্তর। সেই অনুযায়ী পর্ষদ পদক্ষেপ নেয়। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার জন্য টেট উত্তীর্ণ হওয়াটা অন্যতম আবশ্যিক শর্ত। এঁদের নিয়োগ কবে হবে, সেটা সরকারের বিষয়।
২০২১-এর প্রাথমিকের টেটের ফল ঘোষণা। পাশ করেছেন ৯ হাজার ৮৯৬ জন। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৪৪ জন। তার মধ্যে পরীক্ষা দিয়েছিলেন ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৮১৪ জন।
এদিন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য জানান, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আইনি জটিলতা মুক্ত এবং ত্রুটিমুক্ত সর্বজন গৃহীত একটি স্বচ্ছ রেজাল্ট বার করতে। তার জন্য আমরা একটু সময় নিয়ে প্রথমে ড্রাফট বার করেছি। মতামত গ্রহণ করেছি। বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়েছি। তারপর আমরা চূড়ান্ত ফল তৈরি করে প্রকাশ করেছি।”
এ বছর পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন ২ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৪৪ জন। অনুপস্থিত ছিলেন ৫৫৮১৮ জন। মোট পরীক্ষা দিয়েছেন ১৮৯৫১৪ জন। পরীক্ষা বাতিল হয় ১২ জনের। ৯৮৯৬ জন পাশ করেছেন।