নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়ােগের জন্য টেটের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। ২০১৫-র ১৬অগস্টহয় টেট। তার পরে ২০১৬-র ২০ সেপ্টেম্বর উচ্চ প্রাথমিকে নিয়ােগ প্রক্রিয়া শুরু হলেও বারবারই আইনি জটিলতায় তাতে বাধা পড়ে। দীর্ঘ আট বছর কেটে গেলেও শেষ করা যায়নি নিয়োগ প্রক্রিয়া।
২০১৯-এর ৪ অক্টোবর মেধাতালিকা বেরােলেও তাকে কেন্দ্র করে গরমিল ও অস্বচ্ছতার অভিযােগ ওঠে। হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য ২০২০র ডিসেম্বরে নিয়ােগ প্রক্রিয়া বাতিল করে নতুন ভেরিফিকেশন ও ইন্টারভিউয়ের রায় দেন। নতুন ভেরিফিকেশনে ১ লক্ষ ৩২ হাজার প্রার্থী অংশ নেন। ১৪ হাজার ৩৩৯ শূন্যপদে ইন্টারভিউ তালিকায় ১৫ হাজার ৪৩৬ জনের নাম বেরােলে ১৯০০ প্রার্থী ইন্টারভিউ দিতে হাজিরই হননি। ৬০০ প্রার্থীর পর্যাপ্ত নথি না-থাকায় ইন্টারভিউ থেকে বাদ পড়েন।
চলতি বছর ২০ জুলাই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, প্রকাশিত মেধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত প্রার্থীদের ইন্টারভিউ ফের নিতে হবে। আর যাঁরা ইন্টারভিউয়ে ডাক পাননি, তাঁরা অভিযোগ জানালে তার শুনানি করতে হবে। ১০ আগস্ট সেই শুনানি শুরু হয়। ২৩ ডিসেম্বর তা শেষ হতে চলেছে।
২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব মিলিয়ে শুনানির সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ১৮,৩৬৪। আর ১৪,৩৩৯টি শূন্যপদের জন্য ১৫,৪৩৬টি নামের তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল। তবে, অভিযোগকারীদের শুনানি না হওয়ায় ওই প্রার্থীদের ইন্টারভিউ হয়ে গেলেও নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি। বহু বছর ধরে ঝুলে রয়েছে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়াটি। ফলে উচ্চ প্রাথমিক স্তরে স্কুলগুলিতে শিক্ষকের সঙ্কট রয়েছে।