নিউজ ডেস্ক: সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এবার শুরু হচ্ছে ডিভিশন বেঞ্চের লড়াই! SSC-র বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেছে রাজ্য সরকারও।
রাজ্য সরকার, এসএসসি (SSC) এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এই তিন পক্ষ মামলা দায়ের করার অনুমতি চায়। সেই অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চ। এজ গুরুত্বপূর্ণ এই মামলার শুনানির হবে।
কলকাতা হাইকোর্টের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে শুনানি সংক্রান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ তালিকায় আর্জেন্ট মোশন হিসেবে মামলাগুলো স্থান পেয়েছে। মামলাটি মাননীয় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং মাননীয় বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে 4 নম্বর কোর্টে শুনানি হবে। এই সংক্রান্ত তিনটি মসমলা 1, 2 এবং 3 নম্বর সিরিয়ালে আছে। এদিন সকাল 10.30 থেকে শুনানি প্রক্রিয়া শুরু হবে। আজ অধিকাংশ চাকরিপ্রার্থীদের নজর কলকাতা হাইকোর্টের দিকে।
সোমবার মামলার শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি জানান, ব্যক্তিগতভাবে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরোধ নেই। দুষ্কৃতীরা কোনও রাজনৈতিক দলের হয় না। দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করতে হবে। তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। তারপরই এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। ভুয়ো সুপারিশপত্রগুলি খতিয়ে দেখার জন্য ডিআইজি পদমর্যাদার আধিকারিককে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ বিচারপতির। আগামী ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে কলকাতা হাই কোর্টে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
এদিন মামলাকারীদের তরফে ৫০০ জনের নামের তালিকা তুলে দেওয়া হয় আদালতে। এদের নিয়োগ নিয়ম বহির্ভূত ভাবে হয়েছে বলে অভিযোগ। একই সঙ্গে এদিন বোর্ডের পক্ষ থেকে হলফনামা জমা পরে। সেখানে বলা হয়, কমিশনের পক্ষ থেকে যে সুপারিশ এসেছিল তার সফট কপি আছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে। তারা গ্রুপ সি ও ডির নিয়োগ সেখান থেকেই করেছেন। পেন ড্রাইভে তার তথ্য আছে।
সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করে এসএসসি-র হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী কিশোর দত্ত। তিনি সুপ্রিম কোর্টের একাধিক পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। তা শুনে বিচারপতি মন্তব্য করেন, “আপনার যা বলার আছে তার জন্য পাঁচ মিনিট সময় দেব। কেন বুঝতে চাইছেন না আপনারা মামলায় হেরে গিয়েছেন। আপনাদের হলফনামা থেকে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে নিয়ম মেনে নিয়োগ হয়নি। আমি এর তদন্তের জন্য সিবিআই ঠিক করে নিয়েছি।”
বিচারপতি জানতে চান, কমিশনের সুপারিশ যদি না-ই থাকে, তা হলে কার অদৃশ্য হাত এখানে রয়েছে? কার সুপারিশে ২৫ জন চাকরি পেলেন। দু-বছর হতে চলল তাঁরা সে চাকরি করছেন। পাশাপাশি বিচারপতি বলেন, এই ঘটনার জন্য তিনি 'সিবিআই এনকোয়ারি' চান। এর কারণ যে রাজ্য পুলিশে অনাস্থা —এমনটা নয়। কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলকে তিনি অসম্মান করতে চান এমনও নয়। যেহেতু এ ক্ষেত্রে একটা বড় ষড়যন্ত্র চলছে, মানুষের স্বার্থে তা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে কোথাও গিয়ে সিবিআইয়ের অনুসন্ধানের প্রয়োজন রয়েছে। রাজ্য পুলিশের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের অধীনে তাদের কাজ করতে হয়। তাই তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কথা।