Kode Iklan atau kode lainnya

বাবা বাড়ি বাড়ি ঘুরে মাছ বিক্রি করেন, ছেলে ডাক্তারি পরীক্ষায় চমক দেখালেন

নিউজ ডেস্ক:  বাবা বাড়ি বাড়ি ঘুরে মাছ বিক্রি করেন। টানাটানির সংসার। কিন্তু, মেধা এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের জোরে সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা নিটে নজরকাড়া ফল করেছেন হাওড়ার রিভু ভক্তা। শ্যামপুরের রাজীবপুর গ্রামের তরুণ রিভু এবারের নিট পরীক্ষায় ৭২০-র মধ্যে পেয়েছেন ৫৯২ নম্বর। 

ছোট থেকেই তাঁর ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিল রিভুর। শ্যামপুর হাই স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৮৪ নম্বর পেয়ে পেয়ে সেই স্বপ্নপূরণের দৌড় শুরু হয়।

টাকার অভাবে রিভু কোচিংয়ের সুবিধা নিতে পারেননি। তা হলে বর্তমান সময়ে কি করে এল সাফল্য? তাঁর কথায়, ‘‘আমি বন্ধুদের মুখে শুনেছি, কোচিং নিতে অনেক টাকা লাগে। তাই নিজেই ইউটিউব দেখে পড়াশোনা করতাম। উচ্চ মাধ্যমিকের বইগুলোও মন দিয়ে পড়তাম। তাতেই ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছি।’’ 

রিভুর ছোট বোন সুকন্যা অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। এবং স্ত্রী মমতাকে নিয়ে লক্ষ্মীকান্ত ভক্তার সংসার। সংসারে অনটন থাকলেও ছেলেমেয়ের পড়াশোনোর প্রতি সবসময় নজর দেন বাবা লক্ষ্মীকান্ত ভক্তা ও মা মমতা। লক্ষ্মীকান্তবাবু বললেন, ‘‘ভোর তিনটেয় উঠে আড়তে মাছ বিক্রি করতে যাই। দুপুর পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি বিক্রি করি। কোনও রকমে সংসার চলে। ছেলে ডাক্তার হবে জেনে আনন্দ হচ্ছে।’’

নিজের গ্রামে কোনও ডাক্তার নেই রিভুর। ডাক্তার দেখাতে দূরে যেতে হয়। রিভুকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছেন গ্রামের মানুষও। মেধা ও অধ্যবসায়ে শুধু নিজেদের পরিবারকে নয়, রিভু গর্বিত করেছেন গোটা গ্রামকেই। ঘরের ছেলেমেয়ের গলায় ঝুলবে স্টেথোস্কোপ, ভেবেই আনন্দে মাতোয়ারা পরিবার।

close