Kode Iklan atau kode lainnya

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হোম সেন্টারে হলেও অন্য স্কুলে গিয়ে দিতে হবে মাধ্যমিক পরীক্ষা

 

নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে মাধ্যমিক এবং উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষার দিন ঘোষণা হয়েছে। এবার ৭ মার্চ থেকে মাধ্যমিক এবং ২ এপ্রিল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। সোমবার যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে এই ঘোষণা করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। ১৬ মার্চ ঐচ্ছিক বিষয়ের পরীক্ষা দিয়ে মাধ্যমিক শেষ হচ্ছে। আর উচ্চ মাধ্যমিক শেষ হবে ২০ এপ্রিল। মাধ্যমিক পরীক্ষা হোম সেন্টারে হবে না। ডিসেম্বরে মাধ্যমিকের টেস্টও হবে। তবে, উচ্চ মাধ্যমিক হোম সেন্টারেই হচ্ছে। সেক্ষেত্রে স্কুলগুলির টেস্ট নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও কড়াকড়ি নেই।

এবারে মাধ্যমিক হবে বেলা ১১টা ৪৫ মিনিট থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত। আর উচ্চ মাধ্যমিক হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ চলবে উচ্চ মাধ্যমিকের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা। সেই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করবে স্কুলই। শুধু তাই নয়, পরীক্ষা নিয়ে তার ফলও পাঠিয়ে দেবে সংসদের কাছে। 

উচ্চ মাধ্যমিকে হোম সেন্টার হলে মাধ্যমিকে হোম সেন্টার হচ্ছে না কেন? এর উত্তরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অ্যাড হক কমিটির সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ৯,৯৯১টি স্কুলের ছাত্রছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়। কিন্তু এত স্কুলকে পরীক্ষা আয়োজনের উপযোগী সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলা পর্ষদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই ‘অ্যাওয়ে সেন্টার’-এ গিয়েই পরীক্ষা দিতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। 

উচ্চ মাধ্যমিক শুরু হবে ২ এপ্রিল থেকে। চলবে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেক ৪ মার্চ পর্যন্ত চলবে উচ্চমাধ্যমিকের প্র্যাকটিক্যাল। দ্বাদশ একাশের পরীক্ষাও একই দিনে। এমনটাই জানিয়ে দিল সংসদ।

৭ মার্চ থেকে আগামী বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষা চলবে ১৬ মার্চ পর্যন্ত। পাশাপাশি, ২ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে। ২০ এপ্রিলের মধ্যে পরীক্ষা শেষ হয়ে যাবে। একাদশ শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষাও হবে উচ্চ মাধ্যমিকের সঙ্গেই। উচ্চ-মাধ্যমিক এবং একাদশের প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা শুরু হবে ১৫ই ফেব্রুয়ারি থেকে। চলবে ৪ মার্চ পর্যন্ত। 

মাধ্যমিক পরীক্ষার নির্ঘন্টঃ

• ৭ মার্চ প্রথম ভাষা

• ৮ মার্চ দ্বিতীয় ভাষা

• ৯ মার্চ ভূগােল

• ১১ মার্চ ইতিহাস

• ১২ মার্চ জীববিজ্ঞান

• ১৪ মার্চ অঙ্ক

• ১৫ মার্চ ভৌতবিজ্ঞান

• ১৬ মার্চ ঐচ্ছিক বিষয়

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার নির্ঘন্টঃ

২ এপ্রিল (শনিবার): - বাংলা (প্রথম ভাষা), ইংরেজি (প্রথম ভাষা), হিন্দি (প্রথম ভাষা), নেপালি (প্রথম ভাষা), উর্দু (প্রথম ভাষা), সাঁওতালি, ওড়িয়া, তেলুগু, গুজরাত, পঞ্জাবি।

৪ এপ্রিল (সোমবার): - ইংরেজি (দ্বিতীয় ভাষা), বাংলা, হিন্দি, নেপালি, অল্টারনেটিভ ইংলিশ।

৫ এপ্রিল (মঙ্গলবার): ভোকেশনাল বিষয় - হেলথ কেয়ার, অটোমোবাইল, অর্গানাইজড রিটেলিং, সিকিউরিটি, আইটি ও আইটিইএস, ইলেকট্রনিকস, টুরিজম ও হসপিটালিটি, প্লাম্বিং, কন্ট্রাকশন।

৬ এপ্রিল (বুধবার): বায়োলজিকাল সায়েন্স, বিজনেস স্টাডিস, পলিটিকাল সায়েন্স।

৮ এপ্রিল (শুক্রবার): অঙ্ক, সাইকোজলজি, অ্যানথ্রোপোলজি, অ্যাগ্রোনমি, ইতিহাস।

৯ এপ্রিল (শনিবার): কম্পিউটার সায়েন্স, মর্ডান কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, এনভারয়নমেন্টাল স্টাডিজ, হেলথ এবং ফিজিকাল এডুকেশন, মিউজিক, ভিস্যুয়াল আর্টস।

১১ এপ্রিল (সোমবার): ফিজিক্স, নিউট্রিশন, এডুকেশন, অ্যাকাউন্টেন্সি।

১৩ এপ্রিল (বুধবার): কমার্শিয়াল ল অ্যান্ড প্রিলিমিনারিস অফ অডিটিং, ফিলোজফি, সোশিয়োলজি।

১৬ এপ্রিল (শনিবার): কেমিস্ট্র, জার্নালিজম অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন, সংস্কৃত, পার্সি, আরবি, ফরাসি।

১৮ এপ্রিল (সোমবার): স্ট্যাটিসটিক্স, জিয়োগ্রাফি, কস্টিং অ্যান্ড ট্যাক্সেশন, হোম ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ফ্যামিলি রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট।

২০ এপ্রিল (বুধবার): ইকোনকিমস।

একই দিনে দ্বাদশ-একাদশের পরীক্ষা। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। ১৫ ফেব্রুয়ারি-৪ মার্চ পর্যন্ত উচ্চমাধ্যমিকের প্র্যাকটিক্যাল। একই দিনে দ্বাদশ-একাদশের পরীক্ষা হবে বলে জানিয়ে দিল সংসদ। করোনার সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে হোম সেন্টারেই এবার উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা হবে। ২ এপ্রিল থেকে উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা শুরু হবে। ২০ এপ্রিল শেষ হবে উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা

তবে, করোনাবিধির জন্য পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি করতে হবে। ২০২০ সালে কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ২,৮৩৯টি। ২০২১ সালে সেই কেন্দ্রের সংখ্যা আরও অনেক বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত হলেও পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। এবার হয়ত তার চেয়েও বেশি হতে পারে কেন্দ্রের সংখ্যা। টেস্ট প্রসঙ্গে সভাপতি বলেন, ইতিমধ্যেই সিলেবাস কমিয়ে অন্তত ৭৫ শতাংশ করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী অ্যাক্টিভিটি টাস্কও পড়ুয়াদের দেওয়া হয়েছে। তারা তা অনুশীলন করেছে। এক মাস নিয়মিত ক্লাস হলে পরীক্ষার্থীদের ডাউট ক্লিয়ারিং (দ্বন্দ্ব কাটানো) সম্ভব হবে বলে তিনি আশা করেন।

অন্যদিকে, উচ্চ মাধ্যমিক হবে ৬,৭২৩টি সেন্টারে। ওয়াকিহাল মহলের মতে, সর্বভারতীয় বোর্ডগুলি যেখানে হোম সেন্টারেই যাবতীয় পরীক্ষা নিচ্ছে, তাই উচ্চ মাধ্যমিকের সিদ্ধান্ত সেক্ষেত্রে আদর্শ। এতে মূল্যায়নের মাপকাঠিতে বৈষম্য থাকবে না। হোম সেন্টারের ক্ষেত্রে অনেকটাই খোলা মনে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব। তার প্রতিফলন হবে নম্বরের ক্ষেত্রেও। তবে, অধিকাংশ শিক্ষক সংগঠনই মনে করছে, মাধ্যমিকের মতো উচ্চ মাধ্যমিকেও টেস্ট হোক। তাতে কাউকে না আটকে বরং প্রস্তুতির একটা সুযোগ দেওয়া হোক।

close