Kode Iklan atau kode lainnya

অনিয়মিত শিক্ষক নিয়োগ: পড়ুয়া রয়েছে, শিক্ষক নেই; রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে স্কুলছুটের সংখ্যা

 

নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ ক্রমেই অনিয়মিত হয়ে পড়ছে। দীর্ঘদিন ধরে এসএসসির মাধ্যমে নিয়োগ নেই। আট বছর ধরে থমকে রয়েছে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। ফলে শিক্ষকের অভাবে ধীরে ধীরে বন্ধের মুখে রাজ্যের বেশকিছু স্কুল। ক্রমেই বেড়ে চলেছে স্কুলছুটের সংখ্যা। গোটা রাজ্যে সরকারি স্কুলগুলির কী অবস্থা? জানতে চেয়ে রাজ্যের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব  করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। 

এখন পর্যন্ত যা খবর পাওয়া গিয়েছে, কোথাও পড়ুয়ার সংখ্যা সাড়ে সাতশো, শিক্ষক মাত্র দু-জন। কোথাও আবার শিক্ষকের সংখ্যা ছাত্রছাত্রীদের তুলনায় ছ-গুণ বেশি।

এ রাজ্যে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক-পড়ুয়ার অনুপাতের অনেকটাই ফারাক। কম-বেশি এক ছবি মাধ্যমিক স্তরেও। প্রশ্ন উঠছে কেন এই ফারাক? জেলাওয়াড়ি ছবিতে দেখা গিয়েছে, শিক্ষক-পড়ুয়ার যে অনুপাত সামনে এসেছে তা রীতিমতো চমকে যাওয়ার মতন। কীরকম সেই ছবি?

মালদা– ১:৯৪ (অর্থাত্‍, ১ জন শিক্ষক ৯৪ জন পড়ুয়াকে পড়ান)

মুর্শিদাবাদ – ১:৮১

বাঁকুড়া – ১:৫৩

জলপাইগুড়ি – ১:৯২

ঝাড়গ্রাম – ১:৮৮

নদিয়া– ১:৭৫ 

মুর্শিদাবাদ – ১:৫৯

জলপাইগুড়ি – ১:৫৫

উত্তর দিনাজপুর – ১:৫৫

আদালত সূত্রে  খবর, গোটা রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলির কী অবস্থা, তা জানতে চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। স্কুলগুলিতে ছাত্রের সংখ্যা পিছু কত শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছে? কতগুলি স্কুল রয়েছে, পড়ুয়াদের সংখ্যা কত, সমস্ত বিস্তারিত জানিয়ে রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। 

সম্প্রতি, ভারতে শিক্ষার হাল নিয়ে ইউনেস্কো সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই রিপাের্টে বলা হয়েছে, দেশে মােট ১১ লক্ষ ১৬ হাজার শিক্ষকে শূন্য পদে নিয়ােগ হয়নি। এর মধ্যে উত্তর প্রদেশে শিক্ষকের শূন্যপদ ৩ লক্ষ ৩০ হাজার, বিহারে ২ লক্ষ ২০ হাজার। আর পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষকদের ১ লক্ষ ১০ হাজার খালি পড়ে রয়েছে। 

close