Kode Iklan atau kode lainnya

পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে পুজোর পর স্কুল-কলেজ খােলার প্রস্তুতি রাজ্যের

 

নিউজ ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতিতে গত বছর মার্চ মাস থেকে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পঠন-পাঠন একরকম বন্ধই আছে। মাঝে কিছুদিন নবম থেকে দ্বাদশের ক্লাস হয়েছে। করােনার দ্বিতীয় ঢেউ উঁকি দেওয়ার পর ফের বন্ধ হয়েছে সব ক্লাস। যদিও এই মুহূর্তে করোনার সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। ফলে স্কুল খোলার দাবি উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে। পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে পুজোর পর ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দরজা খুলে দিতে চায় রাজ্য সরকার।

এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘােষণা করেছেন, পুজোর পর পরিস্থিতি দেখে স্কুল-কলেজ খােলা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন সিবিএসই স্কুলগুলিতেও পঠনপাঠন বন্ধ। বন্ধ আছে আইসিএসই স্কুলগুলিও। কোভিড বিধি মেনে স্কুল খােলার জন্য একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে স্কুলশিক্ষা দফতর। 

অন্যদিকে করােনা অতিমারীর জেরে পঠন-পাঠন বন্ধ থাকলেও স্কুল-কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী ও আধিকারিকদের প্রতিষ্ঠানে হাজির থাকতে হচ্ছে। সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এগিয়ে এসেছে রাজ্য সরকার। কর্মী, আধিকারিক ও শিক্ষকদের বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। 

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর জেল্লা ফেরাতে স্কুলগুলিকে আর্থিক সাহায্য করেছে সরকার। মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক স্কুল পেয়েছে সর্বোচ্চ পাঁচ লক্ষ টাকা। উচ্চপ্রাথমিক স্কুল পেয়েছে দু’ লক্ষ ও প্রাথমিক স্কুলের শ্রেণিকক্ষ মেরামত করতে বরাদ্দ হয়েছে সর্বোচ্চ ১.৫ লক্ষ টাকা। বাংলার শিক্ষা পাের্টালে সার্ভে রিপাের্ট চেয়েছে স্কুলশিক্ষা দফতর। প্রতিটি চেয়ার সারাইয়ে বরাদ্দ হয়েছে এক হাজার টাকা। প্রতি টেবিল সারাতে স্কুল পেয়েছে দু'হাজার।টাকা। প্রতি বেঞ্চের জন্য দেওয়া হয়েছে ২৫০০ টাকা। ক্যাম্পাস সাফাই এবং স্যানিটাইজেশন-এর জন্যও আলাদা টাকা দেওয়া হয়েছে। শৌচাগার সাফাই বা সংস্কারে বরাদ্দ হয়েছে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা। সমস্ত তথ্য পূরণ করে ছবিসহ পাের্টালে আপলােড করতে হয়েছে প্রধান শিক্ষকদের।

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা কবে বা চলতি বছরের মতাে আগামী বছরও বিকল্প মূল্যায়নের মাধ্যমে ফলপ্রকাশ হবে তা নিয়ে নীরব মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। বিকাশ ভবনের কর্তারা জানিয়েছেন, নবান্নর সবুজসংকেত না মেলা পর্যন্ত স্কুলে পঠন-পাঠন শুরু হবে।  

close