Kode Iklan atau kode lainnya

‘নিয়োগ সুনিশ্চিত করে আমাদের বেকার যন্ত্রনা থেকে মুক্তি দিন’, মুখ্যমন্ত্রী-শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদন চাকরি প্রার্থীদের

 

নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, ‘‘টেট পরীক্ষায় আমাদের ২০ হাজার ছাত্রছাত্রী পাশ করেছেন। এই মুহূর্তে শূন্যপদ রয়েছে সাড়ে ১৬ হাজার। টেট হয়ে গেলে সাধারণত ইন্টারভিউ নিয়ে শূন্যপদ পূরণ করা হয়। কোভিড একটু কমে গেলে ডিসেম্বর থেকেই নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে। জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সেরে ফেলা হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। যাঁরা বাকি থাকবেন, ধাপে ধাপে তাঁদের নিয়োগ করা হবে।’’

মুখ্যমন্ত্রীও কথা মত গত ২৩ ডিসেম্বর ১৬৫০০ শূন্য পদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মূলত টেড উত্তীর্ণ এবং যাদের প্রশিক্ষণ রয়েছে তাই এর জন্য আবেদন করতে পারবেন বলে পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল। গত জানুয়ারি মাসে সাতদিন ধরে এই শূন্যপদ পূরণের জন্য ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াও নেওয়া হয়। এরপর ১৬  সফল চাকরিপ্রার্থীর মেধাতালিকা প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

২০১৪ প্রাইমারী  নট ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, রাজ্যে যে ১৬৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ চলছে সেখানে পূর্ণ প্রশিক্ষিত ডিএলএড প্রার্থীরাই বঞ্চিত হয়েছেন। প্রায় ১২৬০০ জনের লিস্ট বেরোলেও, বেশিরভাগ ডিএলএড আজ লিস্ট থেকে বাদ পড়েছে। এখনো যেহেতু প্রায় ৪০০০ (চার হাজার) জনের মতো শূন্যপদ খালি আছে, ওই ৪০০০ আসনে আগে সমস্ত টেট পাশ নট্ ইনক্লুড D.EL.ED. দের নিয়ে ২য় তালিকা বের করা হোক। তারপরে একসাথে বাকি থাকা কাউন্সিলিং করানো হোক।  

এই অবস্থায় শিক্ষকপদে নিয়োগের জন্য সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ জানাচ্ছেন চাকরি প্রার্থীরা। মূখ‍্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী এবং পর্ষদ চেয়ারম্যান শুভেচ্ছা জানিয়ে চাকরি প্রার্থীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখছেন,  “প্রথমেই আপনাদের শুভ বিজয়ার আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। ১৬,৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে NCTE-এর কালা আইনের অজুহাতে পূর্ণপ্রশিক্ষিত D.El.Ed.-দের সাথে যে নজিরবিহীন বঞ্চনা করা হয়েছে। অবিলম্বে সেই বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে সকল টেট উত্তীর্ণ D.El.Ed. (নট-ইনক্লুড)- দের নিয়োগ সুনিশ্চিত করে আমাদের বেকার যন্ত্রনা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন‍্য মাননীয়া মূখ‍্যমন্ত্রী মহাশয়া, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহাশয় এবং পর্ষদ চেয়ারম্যান মহাশয়ের কাছে কাতর আবেদন জানাচ্ছি।”

close