Kode Iklan atau kode lainnya

'পরেরবার আর কেউ নিলামে নেবে না’, মর্গ্যান এবং কার্তিকের IPL ভবিষ্যৎ লিখে ফেলল নেট দুনিয়া

নিউজ ডেস্ক: গোটা সিরিজ জুড়েই চূড়ান্ত ভাবে ব্যর্থ হয়েছে কেকেআরের অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান এবং উইকেট কিপার দীনেশ কার্তিক। জুনিয়র প্লেয়ারদের উপর ভর করেই ফাইনালে ওঠে কলকাতা। আগে থেকেই ইয়ন মর্গ্যান এবং দীনেশ কার্তিকের উপর রাগটা জমছিল কেকেআর সমর্থকদের। গতকাল আইপিএল ফাইনালে হতাশাজনক হারের পর দুই সিনিয়র খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে সেই রাগের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ দেখল সোশ্যাল মিডিয়া। রীতিমতো ট্রোল করা হল তাঁদের। কেউ কেউ বলেই দিলেন, আগামী বছর নিলামে এই দুজনকে কেউ দলে নেবে না।

সোমবার ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে কলকাতা নাইট রাইডার্স হারার পর এক নেটিজেন বলেন, ‘ইয়ন মর্গ্যান এত বাজে খেলেছেন যে নিজের দলকে ফাইনালে নিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও পরের নিলামে তাঁকে হয়ত কেউ নেবে না।’ অপর এক নেটিজেন রীতিমতো খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘ইয়ন, ট্রফি জিততে গেলে তোমায ফাইনাল জিততে হবে। সবসময় ওরকম হয় না। (২০১৯ সালে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সেই জয় নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন ওই নেটিজেন।)’

এবার আইপিএলে একেবারে জঘন্য ফর্মে ছিলেন মর্গ্যান। ১৭ ম্যাচে করেছেন ১৩৩ রান। গড় ১১.০৮। সর্বোচ্চ ৪৭ অপরাজিত। যা মর্গ্যানের ভয়ানক ফর্মের জ্বলন্ত উদাহরণ। স্ট্রাইক রেট তো আরও ভয়ানক - ৯৫.৬৮। শুধু তাই নয়, এবারের আইপিএলের শেষ ম্যাচেও লজ্জার 'নজির' গড়েছেন মর্গ্যান। আইপিএলের ইতিহাসে কোনও মরশুমে (ন্যূনতম ১০ ইনিংস) অধিনায়কদের মধ্যে সবথেকে খারাপ ব্যাটিং গড়ের ‘নজির’ গড়েছেন তিনি। চলতি মরশুমে ১৭ ম্যাচে ১৩৩ রান করেছেন নাইট অধিনায়ক (১৬ ইনিংস)। গড় ১১.০৮। যা কিনা হরভজন সিং এবং শেন ওয়ার্নের মতো বোলার অধিনায়কের থেকেও কম। ২০১২ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হরভজনের গড় ছিল ১২ (১৭ ম্যাচ, ১১ ইনিংস, ১০৮ রান, সর্বোচ্চ ৩৩)। ২০০৯ সালে রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক ওয়ার্নের ব্যাটিং গড় ১৩.৫ ছিল (১৩ ম্যাচ, ১১ ইনিংস, ১০৮ রান, সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩৪)।

অন্যদিকে গোটা সিরিজে ধারাবাহিক ভাবে ব্যর্থ হয়েছেন দীনেশ কার্তিক।  ফাইনালে কার্তিক এবং মরগানের জুটি ৯ বলে ১১ রান তোলে। যদিও এটি একেবারে ভিন্নভাবে শুরু হয়েছিল, কার্তিকের প্রথম বলের ছক্কা মারেন। চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ে তাঁদের কিছু করে দেখানোর সুযোগ ছিল।  কিন্তু বিস্ময়কর গল্পের শুরুটা যেমন হয়েছিল তা শীঘ্রই হতাশা, খারাপ শট এবং নার্ভাস সিঙ্গেলস দ্বারা বিরতি দেওয়া হয়েছিল।  

যখন কার্তিক আউট হয়ে গেলেন এবং মরগান কিছুক্ষণ পরে ত্রিপাঠীর সঙ্গে ক্রিজে ছিলেন, তখন তাঁর স্ট্রাইকে থাকা উচিত ছিল। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হন। 

close