Kode Iklan atau kode lainnya

NCTE-এর সিদ্ধান্তে ডিএলএড প্রতিষ্ঠানগুলোর সমস্যা আরও বাড়বে: মানিক ভট্টাচার্য

 

নিউজ ডেস্ক: শিক্ষকপদের নূন্যতম যোগ্যতা সংশোধন করেছে নিয়ামক সংস্থা ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (এনসিটিই)। প্রাথমিক শিক্ষকতার চাকরি পাওয়ার জন্য স্নাতক স্তরে ৫০ শতাংশ নম্বর পাওয়া আর আবশ্যিক থাকল না। তবে স্নাতক স্তরে ৫০ শতাংশ নম্বর না থাকলে স্নাতকোত্তরে ৫৫ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। তার সঙ্গে আরও একটি শর্ত হল, তিন বছরের বিএড এবং এমএড-এর ইন্টিগ্রেটেড কোর্সের ডিগ্রি থাকা। এটা থাকলেই প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষকতার চাকরি পেতে আর বাধা থাকবে না। যদিও চাকরি পাওয়ার দু’বছরের মধ্যে করে ফেলতেই হবে ছ’মাসের একটি ব্রিজ কোর্স।

এই মর্মে এনসিটিই তাদের ২০১০ সালের নিয়োগবিধিতে বদল এনেছে। প্রাথমিক শিক্ষকতার চাকরি পেতে উচ্চ মাধ্যমিকে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ এবং দু’বছরের ডিএলএড (ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন) কোর্স থাকতে হবে। এর সমতুল কোর্সগুলিও বৈধ ছিল। পরবর্তী কালে নিয়ম সংশোধন করে বলা হয়, উচ্চ মাধ্যমিকে যাঁদের ৫০ শতাংশ নেই, তাঁরা গ্র্যাজুয়েট হলে এবং ডিএলএড করা থাকলে ছাড় মিলবে। বিএড কোর্স করা গ্র্যাজুয়েট (৫০ শতাংশ নম্বর সহ) প্রার্থীদের সামনেও খোলে চাকরির সুযোগ। তাঁদের ক্ষেত্রেও অবশ্য দু’বছরের মধ্যে ছ’মাসের ব্রিজ কোর্স করে নেওয়ার বিষয়টি বাধ্যতামূলক।

এই মুহূর্তে রাজ্যে চাকরির শূন্যপদের তুলনায় প্রশিক্ষিত প্রার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি।  কয়েক লক্ষ বিএড এবং ডিএলএড করা চাকরি প্রার্থী নিয়োগের অপেক্ষায় বসে আছেন।  এই অবস্থায় এনসিটিই-এর এই নির্দেশিকায়  ডিএলএড প্রতিষ্ঠানগুলির বিপদ আরও বাড়বে। 

পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য বলেন, 'এনসিটিই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়ােগের যোগ্যতামান কেন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমতুল করে দিল, এখনও বুঝে উঠতে পারিনি। এতে ডিএলএড প্রতিষ্ঠানগুলোর সমস্যা আরও বাড়বে।’

শিক্ষক সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি ট্রেইনড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি পিন্টু পাড়ুই বলেন, বিএডদের প্রাথমিকে চাকরির সুযোগ আগে দেওয়া হয়েছে। এখন ইন্টিগ্রেটেড এমএড কোর্সেও ছাড় দেওয়া হল। তাহলে আর ছেলেমেয়েরা দু’বছরের ডিএলএড কোর্স করবে কেন? সেই কোর্স করলে শুধুমাত্র প্রাথমিকে চাকরির দরজা খুলবে। আর বিএড করলে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক—সব রাস্তাই খোলা। এর ফলে ডিএলএডরা বঞ্চিত হচ্ছেন। 

তিনি আরও বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানাব, একইভাবে ব্রিজ কোর্স করিয়ে প্রাথমিকের গ্র্যাজুয়েট বা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের উঁচু ক্লাসে উন্নীত করা হোক। এর জন্য যাঁদের ডিএলএড রয়েছে, তাঁদের ব্রিজ কোর্স করিয়ে নেওয়া হোক। 

close