নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগের নূন্যতম যোগ্যতামান ফের সংশোধন করল ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার্স এডুকেশন বা সংক্ষেপে NCTE। এখন থেকে স্নাতকোত্তরে ৫৫% নম্বর সহ ৩ বছরের ইন্ট্রিগ্রেটেড বি.এড-এম.এড প্রশিক্ষণ থাকলেও ১ম থেকে ৫ম শ্রেণীর শিক্ষন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করা যাবে। তবে এই ক্ষেত্রে তবে শর্ত হল শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত ব্যক্তিকে বাধ্যতামূলক ভাবে ছয় মাসের ব্রিজ কোর্স করতে হবে। নিয়োগের দুই বছরের মধ্যে এই কোর্স শেষ করতে হবে।
এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে NCTE। সেখানে শিক্ষক নিয়োগে যোগ্যতা সংশোধনের কথা বলা হয়েছে। ২৩ আগস্ট, ২০১০, সালে প্রকাশিত শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত গেজেটের ৬১ নং বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করা হয়েছে। কমপক্ষে ৫০% নম্বর সহ স্নাতক এবং ব্যাচেলর অফ এডুকেশন করা চাকরি প্রার্থীরা এতদিন প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণীতে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ হতে পারতেন। নতুন নিয়মে স্নাতকোত্তর ন্যূনতম ৫৫% নম্বর বা সমমানের গ্রেড এবং তিন বছরের ইন্টিগ্রেটেড B.Ed-M.Ed করা চাকরি প্রার্থীরাও প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষকপদে আবেদন করতে পারবেন।
একই সঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমপক্ষে ৫০% নম্বর সহ স্নাতক এবং ১– বছরের স্পেশ্যাল B.Ed. এর সঙ্গে স্নাতকোত্তর ন্যূনতম ৫৫% নম্বর বা সমমানের গ্রেড এবং তিন বছরের সমন্বিত B.Ed-M.Ed সন্নিবেশ করা হয়েছে। এখন থেকে কেউ তিন বছরের ইন্টিগ্রেটেড B.Ed-M.Ed. এর যোগ্যতা অর্জন করলে তাকে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণীতে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য বিবেচনা করা হবে। তবে শর্ত থাকবে প্রাথমিকে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত ব্যক্তির বাধ্যতামূলকভাবে চাকরি পাওয়ার দুই বছরের মধ্যে ছয় মাসের ব্রিজ কোর্স করতে হবে।
অর্থাৎ নতুন সংশোধিত নিয়ম অনুযায়ী স্নাতকে ৫০% নম্বর না থাকলেও স্নাতকোত্তরে ৫৫% নম্বর সহ ৩ বছরের ইন্ট্রিগ্রেটেড বি.এড-এম.এড প্রশিক্ষণ থাকলেও ১ম থেকে ৫ম শ্রেণীর শিক্ষন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করতে পারবেন।