Kode Iklan atau kode lainnya

নাতনি হওয়ায় দাদী অখুশি হয়েছিলেন, সেই নাতি আইএএস হওয়ায় ডিজে বাজিয়ে নাচলেন!

 

নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানের ঝুনঝুনুর চরবাস গ্রামের মেয়ে নিশা চাহার পরিবার ও জেলার জন্য সুনাম বয়ে এনেছেন। নিশা ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় ১১৭ তম স্থান অর্জন করেছেন। বাড়িতে সুখের পরিবেশ বিরাজ করছে। এখন নিশার সাফল্যে সবাই খুব খুশি। নিশার যখন জন্ম হয়েছিল, ঠাকুমা নানচিদেবী মেনে নিতে পারেননি। বংশ রক্ষার জন্য তিনি নাতি চেয়েছিলেন। কিন্তু তা পূরণ না হওয়ায় নাতনির থেকে নিজেকে দূরে দূরে রাখতে শুরু করেন। কিন্তু ছেলে রাজেন্দ্র নানচিদেবীকেই নিশার দেখাশোনার ভার সঁপেছিলেন। দাদি বলেন, যখন নিশার জন্ম হয়েছিল, তখন তিনি খুব দুঃখ পেয়েছিলেন। নাতনিকে নিয়ে মেয়ে চিন্তা হত, তবে এখন দাদী তার নাতনির সাফল্যে খুব খুশি।  ছেলের চেয়ে কন্যা পরিবারের নাম উজ্জ্বল করেছে। 

দাদী নঞ্চি দেবী বলেন, নিশার জন্মের সময় পরিবারে দুঃখের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। পুত্রবধূ চন্দ্রকলা একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছিল, যখন পরিবারের প্রত্যেকেই একটি পুত্র সন্তানের জন্মের অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু একটি কন্যার জন্ম হয়েছিল। 

তবে এখন দাদী খুব খুশি হয়েছেন। ইউপিএসসি ফলাফল প্রকাশের সাথে সাথে তিনি লোকদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন। যেদিন রেজাল্ট এলো, পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি বৃদ্ধা দাদিও সারা রাত ঘুমাতে পারেননি। এমনকি তার শিক্ষক পিতা রাজেন্দ্র চাহারও ধারণা ছিল না যে নিশা প্রথম প্রচেষ্টায় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা পাস করে যাবেন। কিন্তু তিনি এটা জানতেন যে নিশা, যে আজ পর্যন্ত কোনো পরীক্ষায় অসফল হয়নি, সে এই পরীক্ষায়ও সফল হবে।

নিশা জানিয়েছেন, “আমি যখনই জেলাশাসকের বাংলোর পাশ দিয়ে যেতাম, সেই বাংলো দেখে মনে হত এ রকম বাংলো যদি আমার হয়! তখন থেকেই মনে মনে স্থির করি যদি জীবনে প্রতিষ্ঠা পেতে হয়, তা হলে জেলাশাসকের পদই হবে আমার লক্ষ্য। বাড়ির সদস্যদের সে কথাও জানিয়েছিলাম। কিন্তু বাবা-মা চাইতেন আমি ডাক্তার হই। সে জন্য আমি বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনাও করি। বাবা-মা চাইতেন ডাক্তারি পড়া শেষ করতেই বিয়ে দিয়ে দেবেন। কিন্তু আমি ইউপিএসসি-র প্রস্তুতি নিই। এবং প্রথম বারের প্রচেষ্টাতেই সফল হয়েছি।”

close