নিউজ ডেস্ক: আজ আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি সেদ্ধ ডিমের উপকারিতা। হ্যাঁ, ডিম সবসময় স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে আপনি প্রোটিন সমৃদ্ধ সেদ্ধ বা রান্না করা ডিম খান, এটি স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। এই অতি স্বাস্থ্যকর খাবারটি বিশ্বের অন্যতম পুষ্টিকর খাদ্য সামগ্রী, যা সারা বিশ্বের মানুষ খেতে পছন্দ করে। হাড়কে শক্তিশালী করার পাশাপাশি এটি চোখের বিশেষ যত্ন নেয়।
ডিমের মধ্যে পাওয়া পুষ্টি
ডিমের মধ্যে থাকা উপাদানগুলির কথা বললে, এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, আয়রন, ভিটামিন এ, বি 6, বি 12, ফোলেট, অ্যামিনো অ্যাসিড, ফসফরাস এবং সেলেনিয়াম অপরিহার্য অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড (লিনোলিক, ওলিক এসিড) রয়েছে যা প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে পাওয়া যায়। শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ডায়েট বিশেষজ্ঞ কি বলেছেন?
খাদ্য বিশেষজ্ঞ ডা. রঞ্জনা সিং-এর মতে, সিদ্ধ ডিম গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, যা আমাদের ত্বক এবং দৃষ্টিশক্তির জন্য ভালো। এটি ভিটামিন ডি এর একটি ভাল উৎস, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এটি ভিটামি বি এবং আয়রনের একটি সমৃদ্ধ উৎস। যা হিমোগ্লোবিনের মাত্রায় অবদান রাখে।
সিদ্ধ ডিম খাওয়ার বিস্ময়কর উপকারিতা
ডিম শুধু ওজন কমাতে এবং বৃদ্ধিতে সহায়ক নয়, এটি দৃষ্টিশক্তিও বাড়ায়।
অনেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে ডিম স্মৃতিশক্তি উন্নত করে এবং মানসিক চাপ কমায়।
এনার্জি সমৃদ্ধ ডিমগুলিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়, এটি আপনার ত্বক এবং চুলের জন্যও উপকারী।
আপনি যদি প্রতিদিন দুটি ডিম খান, তাহলে রক্তে উপস্থিত রক্তকণিকা উন্নত হতে পারে।
ডিম খেলে হাড় মজবুত হয়। এ ছাড়া হাড় সম্পর্কিত রোগের ঝুঁকিও কমে যায়।
পেশী তৈরিতে সহায়ক
ডিমের সাদা অংশকে প্রোটিনের বড় উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রতিদিন ১ টি সিদ্ধ ডিম খাওয়া আপনাকে পেশির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আপনি যদি সেই প্রোটিন পাউডারের উপর নির্ভর করতে না চান তবে এটি একটি দুর্দান্ত উপায়।
সিদ্ধ ডিম খাওয়ার সেরা সময়
ডায়েট বিশেষজ্ঞ ডা. রঞ্জনা সিং বলেন, সকালের নাস্তায় ডিম খাওয়া বেশি উপকারী। এটি প্রস্তুত করতে 5 থেকে 10 মিনিট সময় লাগে। এতে ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, আয়রন এবং প্রোটিনের মতো পুষ্টি পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। প্রোটিন সমৃদ্ধ সকালের নাস্তা করলে আপনার দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা লাগবে না। এটি আপনাকে সারা দিনের জন্য শক্তি দেয়।