এক লক্ষ ছেলেকে চাকরি দিয়েছি, কোর্ট বলেছে আপনারা এই ভাবে কাজ করে যান আমরা খুশি: মানিক ভট্টাচার্য

আজ কলকাতা হাইকোর্টে বড়সড় স্বস্তি পেলেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। ইচ্ছাকৃতভাবে আদালত অবমাননার অভিযােগ প্রশ্ন ভুল সংক্রান্ত মামলাট
 

নিউজ ডেস্ক: আজ কলকাতা হাইকোর্টে বড়সড় স্বস্তি পেলেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। ইচ্ছাকৃতভাবে আদালত অবমাননার অভিযােগ প্রশ্ন ভুল সংক্রান্ত মামলাটি আজ আদালতে ওঠে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলাটি ওঠে। এদিন সকাল ১১.৪০টার দিকে মামলাটির শুনানি হয়। তাঁতে বড় স্বস্তি পেলেন পর্ষদ সভাপতি। 

এদিন আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে মানিকবাবু বলেন, আইনি জটিলতা ও বোর্ডের নিয়মের বাধ্যবাধকতায় চাকরি দেওয়া সম্ভব হয়নি৷ আবেদনকারীদের দ্রুত চাকরি দেওয়ার জন্য বাধ্য বোর্ড৷ কোর্ট কোনও কিছু জানতে চাইতেই পারে৷ এর মধ্যে অন্য কোনও অর্থ খোঁজার মানে নেই৷ কোর্ট আমাদের বক্তব্য শুনেছে৷ আমরা কোনও ভুল করিনি৷ ২৫ জন ছেলেকে চাকরি দেওয়া হবে কিনা, সেটা বড় বিষয় নয়৷ আদালতের অর্ডারটাই বড় বিষয়৷  

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ মানিক ভট্টাচার্য বলেন, “যেটা আদালত বলতে চাইলেন, এই ছেলেটিকে আপনারা নিয়োগপত্র দিতে পারতেন। আমি তখন বলেছি, ওই ছেলেকে চাকরি দেওয়ার জন্য আমরা আবেদনপত্র চেয়েছিলাম ওর প্যানেলও করে দিয়েছি। তবে বোর্ডের কিছু বাধ্যবাধকতা থাকে। হাইকোর্টের একটি নির্দেশ আছে রুলস মেনে চলে শূন্যপদ থাকলে নিয়োগ দিতে হবে। শূন্যপদ না থাকলে নিয়োগ দেওয়া যায় না। নিয়ম মেনে চলেই চাকরি দিতে হয়। মহামান্য আদালত গত শুক্রবার যে অর্ডার পাস করেছে সেই নিরিখে আমি আদালতকে বলেছি, আমরা এক লক্ষ ছেলেকে চাকরি দিয়েছি। তাহলে একে দেব না কেন? পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সবসময় চাই যত তাড়াতাড়ি নিয়োগ পত্র দেওয়ার। আমি খুব খুশি, যে মহামান্য আদালত আমার কথা খুব সুন্দর ভাবে শুনেছেন। আর যদি কোর্ট যদি একজনকে ডাকেন, সেটা তো নিয়মের মধ্যেই। আজ আমি খুশি। কোর্ট বলেছে আপনারা এই ভাবে কাজ করে যান আমরা খুশি। তবে ২৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া বড় কিছু নয়। একই রকম বিষয় নিয়ে কোর্টের অর্ডার এলে আমরা চাকরি দিয়ে দেব।”

এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদ সভাপতির উদ্দেশে বলেন, বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় গত দুবছর আগে নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও কেন সেই নির্দেশ মানেননি? আপনি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি। আপনি যদি আদালতের নির্দেশ অমান্য করেন তাহলে পরে যাঁরা এই পদে আসবেন তাঁরা কি আগামী দিনে নির্দেশ মানবেন? আদালত এদিন স্পষ্ট করে বলেছে, যাঁদের চাকরি দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় দিয়েছিলেন সকলের নিয়ােগ নিশ্চিত করতে হবে। যদিও পর্ষদ সভাপতি জানান, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আদালতের নির্দেশ মতই কাজ করে চলছে। 

LihatTutupKomentar
close