নিউজ ডেস্ক: উচ্চপ্রাথমিকের টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্টের (টেট) ফল প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর। সে সময় শূন্যপদ ছিল ১৫ হাজারের কিছু কম। পরীক্ষার্থী ছিলেন ৫ লক্ষ ৪৩ হাজার। কিন্তু লোকসভা ভোটের জন্য ওই বছর মার্চে পরীক্ষাগ্রহণ থমকে যায়। শেষমেশ ২০১৫-র অগস্টে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা (টেট) হয়। এরপর চলেছে একের পর এক মামলা। ফলে বেড়েই চলেছে চাকরি প্রার্থীদের অপেক্ষার প্রহর। এখনও পর্যন্ত এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা যায়নি। উচ্চপ্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়ােগের ইন্টারভিউ তালিকা নিয়ে জমা পড়া অভিযােগগুলির শুনানি প্রক্রিয়া চলছে।
মঙ্গলবার ফলপ্রকাশের পাঁচ বছর পূর্ণ হল। প্রায় আট বছর ধরে নিয়ােগের অপেক্ষায় থাকা উচ্চপ্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা দ্রুত নিয়ােগের আবেদন জানাতে বেছে নিয়েছিলেন এদিনটিকেই। মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে ট্যাগ করে টুইট অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চ। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার টুইট করেন চাকরিপ্রার্থীরা।
We want to upper primary recruitment before puja vacation#upperprimary@MamataOfficial @basu_bratya pic.twitter.com/i2wGC84MKu
— Surabi Halder (@halder_surabi) September 14, 2021
এটাই উচ্চ-প্রাথমিক স্কুল গুলিতে শিক্ষক নিয়োগের প্রথম পরীক্ষা। কলকাতা গেজেটে উল্লিখিত ইন্টারভিউ নেওয়ার ১৫ দিন আগে পর্যন্ত বর্ধিত শূন্যপদ যোগ হওয়ার কথা, অথচ West Bengal Central School Service Commission তা যোগ না করে ১৪ হাজার ৩৩৯ টি শূন্যপদে চলতি আগস্ট মাসের ৪ তারিখ পর্যন্ত ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ করেছে। এমনকি ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াতে যে ২৫০০ হাজার মতো শূন্যপদ খালি হয়েছে তাও পরবর্তী নিয়োগে যুক্ত হবে বলে ঘোষণা করেছেন কমিশনের চেয়ারম্যান।
এমত পরিস্থিতিতে বর্তমানে কমিশন প্রকাশিত Not Included এবং Rejected List সহ অন্যান্য চাকরি প্রার্থী ও তাদের পরিবার পরিজন হতাশাগ্রস্ত। তারা দীর্ঘ ৮ বছর অনেক মানসিক যন্ত্রণা,নানা জনের নানা কটূক্তি, তাচ্ছিল্য সহ্য করার পরও বঞ্চিত বলে মনে করছেন। তাদের বক্তব্য-বিকাশ ভবনের স্কুল শিক্ষাদপ্তরে RTI (Memo no.2049-GA/OM-21/2010 Dated 16/08/2019) মারফত New Setup School এর ৫১০৮ টি এবং School Service Commission কর্তৃক কোর্টে ঘোষিত ৫০০১ টি শূন্যপদের তথ্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কমিশন তাদের বঞ্চিত করছে।
তাদের দাবি একই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রাইমারিতে দ্বিতীয়বার নিয়োগ হলেও উচ্চ-প্রাথমিকে ৫১০৮+৫০০১+২৫০০ সহ প্রায় ৪০ হাজার শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও তারা বঞ্চিত।তাছাড়া প্রত্যেক বছর নিয়মিত পরীক্ষা হলে তারা উপরের শূন্যপদ গুলিতে অনেকেই চাকরি পেয়ে যেতেন বলে তারা মনে করছেন। এছাড়া নবম থেকে দ্বাদশ এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে মুখ্যমন্ত্রী সহ শিক্ষামন্ত্রী মানবিক ভাবে নানা পদক্ষেপ নিলেও তাদের বিষয়ে কিছু ভাবা হচ্ছে না বলে তাদের অভিযোগ।
আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সহ-সভাপতি সুশান্ত ঘােষ বলেন, “নিয়ােগের অপেক্ষায় দীর্ঘ আট বছর অতিক্রান্ত। শিক্ষা দফতরের কাছে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ও ঘােষণামতাে দ্রুত নিয়ােগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার ঐকান্তিক আবেদন জানাই।”