Kode Iklan atau kode lainnya

উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের মামলায় যুক্ত হতে চেয়ে আর্জি মঞ্চের

 

নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের আপার প্রাইমারী চাকরির ফর্ম ফিলাপ করা হয়। ২০১৫ সালে পরীক্ষা দেন পরীক্ষার্থীরা। ২০১৬ সালে রেজাল্ট বের হয়। ২০১৬ সালে ইন্টারভিউ এর জন্য আবেদন করে। ২০১৯ সালে ইন্টারভিউ দেওয়ার পর প্যানেলাইজড করা হয়। তারপর সেই প্যানেলটা বাতিল হয়েছে। 

আদালতের নির্দেশে আবার নতুন করে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ আট বছর কেটে গেলেও নিয়োগের দেখা নেই। ২০২১ সালে অনলাইন আপলোড হয় তাতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন চাকরি প্রার্থীদের নানান সমস্যা ধরা পড়েছে। এখন চলছে অভিযোগকারী চাকরি প্রার্থীদের শুনানি প্রক্রিয়া। 

এই অবস্থায় আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের মামলায় যুক্ত হতে চেয়ে আর্জি জানাতে চলেছেন রাজ্যে উচ্চ প্রাথমিকে নিযুক্ত হওয়ার যােগ্যতা অর্জনকারী প্রার্থীদের একাংশ। দীর্ঘ দিন কেটে গেলেও নিয়োগ নেই, নিয়ােগ প্রক্রিয়ায় বিলম্বের ফলে চাকরির বয়স পেরিয়ে যাওয়ার ভয়ে তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের প্রবীণ আইনজীবীদের পরামর্শ অনুযায়ী কেস ফাইল করতে চলেছেন বলে খবর। উচ্চ প্রাথমিকে দ্রুত নিয়োগের জন্যই পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থী মঞ্চে আদালতের শরণাপন্ন হলো।

এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থী মঞ্চের সহ-সভাপতি সুশান্ত ঘােষ বলেন, প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া একই সঙ্গে শুরু হয়। একই দিনে আদালতের ছাড়পত্র মেলে। ২০১৫-র ১৬ অগস্ট টেট দেওয়ার পর একই নিয়ােগ প্রক্রিয়ায় দু’বার বহু প্রার্থী ইন্টারভিউ দিয়েছেন। এখনও তাঁরা নিয়ােগপত্র থেকে বঞ্চিত। নিয়ােগ প্রক্রিয়ায় জটের কারণে আমরা সুযােগ পাচ্ছি না।'

প্রসঙ্গত, এটাই  উচ্চ-প্রাথমিক স্কুল গুলিতে  শিক্ষক নিয়োগের প্রথম পরীক্ষা। কলকাতা গেজেটে উল্লিখিত ইন্টারভিউ নেওয়ার ১৫ দিন আগে পর্যন্ত বর্ধিত শূন্যপদ যোগ হওয়ার কথা, অথচ West Bengal Central School Service Commission তা যোগ না করে ১৪ হাজার ৩৩৯ টি শূন্যপদে চলতি আগস্ট মাসের ৪ তারিখ পর্যন্ত ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ করেছে। এমনকি ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াতে যে ২৫০০ হাজার মতো শূন্যপদ খালি হয়েছে তাও পরবর্তী নিয়োগে যুক্ত হবে বলে ঘোষণা করেছেন কমিশনের চেয়ারম্যান। ফলে হতাশার মধ্যে রয়েছেন চাকরি প্রার্থীদের একাংশ। 

তাঁদের দাবি একই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রাইমারিতে দ্বিতীয়বার নিয়োগ হলেও উচ্চ-প্রাথমিকে ৫১০৮+৫০০১+২৫০০ সহ প্রায় ৪০ হাজার শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও তারা বঞ্চিত।তাছাড়া প্রত্যেক বছর নিয়মিত পরীক্ষা হলে তারা উপরের শূন্যপদ গুলিতে অনেকেই চাকরি পেয়ে যেতেন বলে তারা মনে করছেন। 


close