Kode Iklan atau kode lainnya

১০ বছরের চাকরি জীবনে পাঁচবার বদলির চিঠি! শিক্ষিকার বদলি স্থগিত করে কড়া নির্দেশ আদালতের

 

নিউজ ডেস্ক: ১০ বছরের চাকরি জীবনে মোট  পাঁচবার ধরানো হয়েছে বদলির চিঠি। যার মধ্যে চারবার বদলি হয়েছে। কিন্তু পঞ্চমবার বদলির নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ প্রাথমিকের শিক্ষিকা পাপিয়া চক্রবর্তী সরাসরি দ্বারস্থ হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের। হাইকোর্টের রায় গিয়েছে শিক্ষিকার পক্ষে। আদালত রায় দিয়েছে ওই শিক্ষিকার বদলি স্থগিত করা হল। শুধু তাই নয়, বাকি কর্মজীবনে এভাবে ওই শিক্ষিকাকে জ্বালাতন করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

এই মামলা দেখে বিস্মিত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় মালদহের জেলা প্রাথমিক স্কুল কাউন্সিলের কাছে জানতে চেয়েছেন, ওই শিক্ষিকার ক্ষেত্রে এমন করার কারণ কী? সেই প্রশ্নের উত্তর যথাযথ দিতে পারেনি কাউন্সিল। এরপর এক নির্দেশে বিচারপতি বলেছেন, ওই শিক্ষিকাকে তাঁর বাকি কর্মজীবনে আর বদলি করে জ্বালাতন করা যাবে না। যদি না তা একান্তই জরুরি হয়। 

আদালতে শুনানির সময়, পাপিয়াদেবীর আইনজীবী রবিউল ইসলাম আদালতকে জানান, ২০১০ সালের ১৯ মার্চ মালদহেই এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মজীবন শুরু করেন ওই শিক্ষিকা। তিন বছরের মধ্যেই ২০১৩ সালের ১২ মার্চ বদলি করা হয় অন্য বিদ্যালয়ে। এর দু’ সপ্তাহ বাদে ফের তাঁকে আরেকটি প্রাথমিক স্কুলে বদলি করা হয়। তাঁর বছর তিন পর ২০১৬ সালের ১৫ জুন পাপিয়াদেবীকে বদলি করা হয় বাসুদেবপুর সুকনদিঘি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এর চার বছর পর,  ২০২০ সালের ১৮ ডিসেম্বর পূর্ব বাঞ্ছাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ। রবিউল ইসলামের প্রশ্ন, ওই শিক্ষিকার এক শিশু সন্তান থাকা সত্তেও কেন বারংবার বদলির নির্দেশ ধরানো হচ্ছে? 

যদিও শুনানির সময় সরকারি আইনজীবী জানান, শিক্ষার অধিকার আইন অনুসারে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত ঠিক রাখার জন্যই তাঁকে বদলি করা হয়েছে। কিন্তু, কোনও জুনিয়র শিক্ষককে বদলি না করে কেন তাঁকেই বারবার বদলি করা হচ্ছে, তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি সরকারি আইনজীবী। যেএর পরে আদালত রায় দিয়ে জানিয়েছে, ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত বজায় রাখতে হলে অন্য শিক্ষককে বদলি করতে হবে। পাপিয়াদেবীকে বদলির নির্দেশ কার্যকর করা যাবে না।

close