Kode Iklan atau kode lainnya

হাইকোর্টের নির্দেশে ২৪ ঘণ্টায় পছন্দের স্কুলে বদলি পেলেন শিক্ষিকা

 

নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা দিয়ে ইতিহাসের শিক্ষিকা পামেলা গঙ্গোপাধ্যায় ২০১১ সালে কাজে যােগ দিয়েছিলেন নদীয়ার মুরুটিয়া থানা এলাকার শিকরপুরের সুভাবিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। তাঁর সন্তানের জন্ম হয় ২০১৫ সালে। কলকাতার শহরতলি এলাকা থেকে শিশু সন্তানকে বাড়িতে রেখে নাদীয়ায় যাতায়াত করা কঠিন হবে বুঝে চিঠি দেন স্কুলশিক্ষা দপ্তরকে। ওই দপ্তর তাঁর অনুরােধ বিবেচনা করার জন্য পাঠিয়ে দেয় সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। 

সেই ২০১৮ সাল থেকে বাড়ির কাছের কোনও বিদ্যালয়ে বদলি চেয়ে নাস্তানাবুদ হচ্ছিলেন ওই শিক্ষিকা। কলকাতা হাইকোর্টের এক ধাক্কায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই প্রচেষ্টা সফল হল। কারণ, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ এভাবে দ্রুত কার্যকর না করা হলে রাজ্যের উৎসশ্ৰী পাের্টালের মাধ্যমে বারাসত জেলা স্কুল পরিদর্শকের আওতাধীন সব বিদ্যালয়ের ইতিহাসের শিক্ষকদের বদলি ব্যবস্থা আটকে যেত।

কমিশনও সেই সূত্রে একটি নয়, দুটি চিঠি দেয়। একটি বারাকপুর-সহ কলকাতার জেলা স্কুল পরিদর্শককে, অন্যটি বারাসতের জেলা স্কুল পরিদর্শককে। প্রথম চিঠির তারিখ ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ও অন্যটির ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু, আশ্চর্যজনকভাবে ওই স্কুল পরিদর্শকরা কমিশনে কোনও শূন্যপদের তথ্যই পাঠাননি।

তাঁর আইনজীবী কমলেশ ভট্টাচার্য আদালতকে জানান, সম্প্রতি উৎসর্শী পাের্টালে পামেলা দেখতে পান, বারাসত স্কুল পরিদর্শকের এলাকায় বেশ কিছু বিদ্যালয়ে তাঁর বিষয়ে শূন্যপদ রয়েছে। সেগুলির যেকোনও একটিতে তাঁকে বদলি করার আবেদন নিয়েই তিনি হাইকোর্টে এসেছে। 

রাজ্যের আইনজীবী জানান, পোর্টালের ওই তথ্য ৩১ আগস্টের। ফলে এখনই বলা শক্ত, কেউ ওইসব শূন্যপদে ইতিমধ্যেই আবেদন করেছে কি না। তাই আবেদনকারীকে কোনও নির্দিষ্ট বিদ্যালয় নির্বাচন করার সুযােগ এখনই দেওয়া যায় না। ৮ সেপ্টেম্বর এই প্রেক্ষাপটে আদালত নির্দেশ দেয়, সেদিন বেলা ২টা পর্যন্ত যে শূন্যপদগুলিতে কেউ আবেদন করেননি, সেগুলি শিক্ষাদপ্তরের কমিশনার পামেলাকে দেখাবেন। যেহেতু তিনি বদলির প্রয়াস ২০১৮ সালে শুরু করেছিলেন, তাই তাঁকেই বিদ্যালয় পছন্দে তাগ্রাধিকার দিতে হবে। ৮ সেপ্টেম্বরের বিকেল সাড়ে ৪টে থেকে ৯ সেপ্টেম্বরের বিকেল ৩টে পর্যন্ত কোনও শিক্ষককে বারাসত স্কুল পরিদর্শকের এলাকায় ওই বিষয়ের কোনও বিদ্যালয় পছন্দ করতে দেওয়া যাবে না। মামলাকারী তাঁর পছন্দের বিদ্যালয়ের নাম জানালে সেইমতাে কমিশনার পরবর্তী সব পদক্ষেপ করবে। নদীয়ার বিদ্যালয়টিকেও সবরকম সহযােগিতা করতে হবে। 

এরপর ৯ সেপ্টেম্বরেই মামলাকারীকে তাঁর পছন্দমাফিক রাজারহাটের স্যার রমেশ মিত্র রােডের অম্বিকা সৌদামিনী বালিকা বিদ্যালয়ে সবরকম সরকারি নিয়মকানুন মেনে বদলি করা হয়েছে। 

close