স্নাতক পরীক্ষা শেষ হওয়ার ছ’দিন পরেই ইউপিএসসি-তে বসে সাফল্য, দেশের ‘কনিষ্ঠতম’ আইএএস সুচিতর শর্মা
নিউজ ডেস্ক: স্নাতক পরীক্ষা শেষ হওয়ার ছ’দিন পরেই ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেছিলেন তিনি। মিলেছে সাফল্যও। সেই ছেলেই এখন দেশের ‘সর্বকনিষ্ঠ’ আইএএস। তবে সরকারি ভাবে তাঁকে সর্বকনিষ্ঠ আইএএস বলে ঘোষণা করা হয়নি।
ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (ইউপিএসসি) পরিচালিত সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায়, জম্মু জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা সালাইহারের বাসিন্দা সুচিতর শর্মা তার প্রথম প্রচেষ্টায় সফল হয়েছেন। 22 বছর বয়সে তিনি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে শুধু তার পরিবারের নয়, পুরো রাজ্যের নাম উজ্জ্বল করেছেন। সুচেতর ইউপিএসসি-তে 146 তম স্থান পেয়েছেন।
জম্মু জেলার বিষ্ণহ থেকে নয় কিলোমিটার দূরে সালাইহাদ গ্রামের বাসিন্দা সুচিতর শর্মা 2020 সালে স্নাতক সম্পন্ন করেন। স্নাতক শেষ করার পর, তিনি ইউপিএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন এবং প্রথম প্রচেষ্টায় সাফল্য পান। সুচেতর বলেন যে তিনি দ্বাদশ শ্রেণী থেকে সিভিল সার্ভিসে ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং তার প্রস্তুতি শুরু করেন।
সুচিতর শর্মা বলেন, ‘এই যাত্রা শুরু করা আমার জন্য খুব কঠিন ছিল, কিন্তু নিজেকে কখনই লক্ষ্য থেকে দূরে যেতে দেইনি। তবে আমি পরিবার এবং শিক্ষকদের প্রচুর সমর্থন পেয়েছি। ফলে আমি আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। আমি ইউপিএসসি পরীক্ষা খুব ভাল দিয়েছিলাম। ফলে আমি এই ফলাফল আশা করছিলাম।’
বাবা মদনলাল শর্মা এবং মা রিতু মঙ্গোত্রা দু’জনেই পেশায় শিক্ষক। জম্মুর রত্নচকের সেনা-স্কুল থেকে ৮৪ শতাংশ পেয়ে পাশ করা সুচিতর জানিয়েছেন, দ্বাদশ শ্রেণি থেকেই ইউপিএসসি-র প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন। আর এ ক্ষেত্রে তাঁর অনুপ্রেরণা ছিল তুতো দিদি প্রয়াসী শর্মা। ঘটনাচক্রে প্রয়াসী ২০১৪ ব্যাচের আইপিএস। ফলে দিদির অভিজ্ঞতা এবং পরামর্শকে কাজে লাগাতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন সুচিতর।
সুচিতর আরও বলেন, পরীক্ষার প্রাথমিক প্রস্তুতি খুবই কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমার বাবা মাদল লাল শর্মা এবং মা রিতু মঙ্গোত্রা দুজনেই শিক্ষক এবং এই যাত্রায় সবসময় তাদের সমর্থন ও নির্দেশনা পেয়েছেন।
পড়ুয়াদের জন্য সুচিতরের বার্তা, দশম শ্রেণী থেকে, আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। আপনার লক্ষ্য অর্জনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন। লক্ষ্য অর্জন করা কঠিন কিছু নয়। এতে দুই থেকে তিনটি বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হয়, যেখানে স্থিতিশীলতা, কঠোর পরিশ্রম পড়াশুনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।