Kode Iklan atau kode lainnya

মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের বদলি প্রক্রিয়া থমকে রয়েছে, অবিলম্বে তা কার্যকরী করার দাবি

  

নিউজ ডেস্ক: আবেদন নেওয়া শেষ হয়েছে বেশ কয়েক মাস আগে। এখনও চলছে ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে অনলাইনে শিক্ষকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র গ্রহণ করে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। 30 জুন পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হয়েছিল। মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, 4 হাজার 700 শিক্ষক বদলির আবেদন করেছেন। 

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মাদ্রাসা শিক্ষকেরা জেনেরাল ট্রান্সফার আবেদন করার সুযোগ পায় এবং সেই ফর্ম ফিলাপ চলতে থাকে জুন মাসের 30 তারিখ পর্যন্ত। তারপর মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন থেকে ট্রান্সফার সংক্রান্ত আর কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। কমিশনে যোগাযোগ করলে বলে কাজ চলছে, ওয়েবসাইট এ চোখ রাখুন, কিছু হলে খবর পাবেন। জুলাই আগস্ট নিঃশব্দে পার হয়ে গেল, সব মিলিয়ে ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর প্রায় ছ'মাস হয়ে গেলো, আজও সেই ট্রান্সফার হচ্ছে, হবে করেই কাটছে। 

একবার সুপ্রিম কোর্টে কেস হওয়ায় পাঁচ বছর কমিশন অকেজো হয়ে পড়ে ছিলো, 2020 সালের 6ই জানুয়ারি কাজে ফিরে আসে। প্রসঙ্গত বলে রাখি, পশ্চিমবঙ্গের সরকারি অনুমোদিত ও পোষিত 614 টি মাদ্রাসায় নিয়োগ ক্ষমতা কমিটির হাতে থাকবে, না কমিশনের তথা সরকারের হাতে থাকবে,এই নিয়েই কেস চলেছিল 2014 থেকে 2020 সালের 6ই জানুয়ারি পর্যন্ত। যারা ট্রান্সফার প্রার্থী, তারা বাড়ি থেকে অনেকেই 500/600 কিমি দূরে বিগত এক দশক ধরে নিজের পরিবার পরিজন আত্মীয়-স্বজন ছেড়ে চাকরি করছে। 

এই অবস্থায় দ্রত বদলি প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি জানাচ্ছেন শিক্ষকরা। এই নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন,  ‘মাদ্রাসা জেনেরাল ট্রান্সফার কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে হয়। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন প্রাপ্ত আবেদনের ভিত্তিতে সিনিয়রিটি ভিত্তিক, সাবজেক্ট ভিত্তিক, লিস্ট তৈরী করে পাবলিশ করে। পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত সযকারী পোষিত ও অনুমোদিত মাদ্রাসা গুলিতে যে ভ্যাকেন্সি আছে সেগুলি বিষয় ভিত্তিক পাবলিশ করে। তারপর সকল প্রার্থীদের ডেকে কাউন্সেলিং করানো হয়। আমরা দাবি করছি, মাদ্রাসা শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের ট্রানস্ফার প্রক্রিয়াটি দ্রুত সুসম্পন্ন করা হোক।’ 

close