Kode Iklan atau kode lainnya

বিজেপির রাজত্বে উত্তরপ্রদেশে মহিলা, বলদ কিংবা ষাঁড় সবাই সুরক্ষিত: যোগী আদিত্যনাথ

যোগী আদিত্যনাথ

নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির। এরই মধ্যে কখনও সংখ্যালঘু তোষণ, কখনও তালিবান-পরিবারতন্ত্র নিয়ে বিরোধী পক্ষকে আক্রমণ করেই চলেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার।

এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর ‘আব্বাজান’ বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “২০১৭ সালে বিজেপি সরকার উত্তরপ্রদেশের ক্ষমতায় আসার আগে ‘আব্বাজান’ বলা ব্যক্তিরাই রেশন পেট। ওরাই গরীবের চাকরি কেড়ে নিত। কুশীনগরের বরাদ্দ রেশনের চাল বাংলাদেশ, নেপালে চলে যেত।” তাঁর ‘আব্বাজান’ মন্তব্যে ইতিমধ্যেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে। বিরোধীদের পাশাপাশি যোগী আদিত্যনাথকে বিঁধে টুইটে আব্বাজান হ্যাশট্যাগে সরব হয়েছেন বহু বিশিষ্টজনেরা। 

সমাজবাদী সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন যে, তাঁর ক্ষমতায় আসার আগে রাজ্যের মহিলা, বলদ কিংবা ষাঁড় কেউই সুরক্ষিত থাকতেন না।

এদিকে আবার, পূর্ববর্তী সরকারের সঙ্গে বর্তমান সরকারের পার্থক্য বোঝাতে গিয়ে আদিত্যনাথ মহিলাদের সঙ্গে একই আসনে বসিয়ে দিলেন বলদ এবং মোষকে। 

যোগী আদিত্যনাথ বলেন যে, ‘এর আগে যেখানেই আমাদের কর্মীরা যেত, মহিলারা জিজ্ঞাসা করতেন, আমরা কি নিরাপদে কখনও থাকতে পারব? আমাদের মা-বোনেরা সবসময়ই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেন। এমনকী কোনও গরুর গাড়ি যদি পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে যেত, তাহলে বলদ কিংবা মোষেরাও নিরাপদে থাকত না। এর আগে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশেই এই ধরনের ঘটনাগুলি ঘটত। তবে পূর্ব উত্তরপ্রদেশে এগুলি হত না। কিন্তু এখনও কোথাও এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটে না। আজ বলদ, ষাঁড় কিংবা মহিলা-কাউকেই জোর করে কেউ তুলে নিয়ে যেতে পারে না। পার্থক্যটা বুঝতে পারছেন? 

close