'কোনও আইনে বলা নেই যে, ইন্টারভিউয়ের তালিকায় প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর রাখতে হবে’

উচ্চ প্রাথমিকে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।

নিউজ ডেস্ক: উচ্চ প্রাথমিকে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা আদালতে উঠলে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট। এরপরেই নিজের প্রবল অসন্তোষ জাহির করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, "যখনই নিয়োগ হচ্ছে, তখনই কোর্টে মামলা করে দিচ্ছে।" জযদিও মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বললেন, ওনারা চাকরি দিতে পারবেন না। তৃণমূলের নিজের লোকেরাই মামলা করছে।

কিছুদিন আগেই উচ্চ প্রাথমিকের ইন্টারভিউয়ের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। যদিও চাকরি প্রার্থীদের দাবি ছিল তালিকা স্বচ্ছ নয়। তাছাড়া ইন্টারভিউ লিস্টে ন্যূনতম নম্বর দেওয়া নেই। এরপরেই আদালতের দ্বারস্থ হন বেশ কয়েকজন চাকরি প্রার্থী। গতকাল ওই মামলার শুনানি ছিল।  আদালত প্রাথমিক ভাবে অভিযোগের সারবত্তা মেনে নিয়েছে। আদালত মনে করেছে অভিযোগের জোর আছে। এরপরেই আদালত উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দেয়। ফলে আবারও বেকায়দায় এসএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়া।  

আদালতের স্থগিতাদেশ দেওয়ার পরেই বুধবার জরুরি বৈঠকে বসে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেখানেই পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। উচ্চ প্রাথমিকের তালিকা সম্পর্কে  স্কুল সার্ভিস কমিশনের এক কর্তা জানিয়েছেন, “একশাে শতাংশ স্বচ্ছতার সঙ্গেই নিয়ােগ প্রক্রিয়া চলছে। তবে কারও অভিযােগ থাকতেই পারে। নিয়ােগ প্রক্রিয়ার কোনও আইনে বলা নেই যে, ইন্টারভিউয়ের তালিকায় প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর রাখতে হবে। তবে এটুকু বলতে পারি যে স্বচ্ছতার সঙ্গেই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। তাছাড়া প্রার্থীর নম্বরের উল্লেখ থাকলে ইন্টারভিউ প্যানেলের সদস্যরা প্রভাবিত হতে পারেন।

পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সহ-সভাপতি সুশান্ত ঘােষ বলেন, “আমরা মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদন, বর্ধিত শূন্য পদে স্বচ্ছতার সঙ্গে দ্রুত ইন্টারভিউ নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি। আমরা চাই আদালতের রায় অনুযায়ী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পুরো নিয়ােগ প্রক্রিয়া শেষ করা হােক।”

দীর্ঘ সাত বছর ধরে ঝুলে রয়েছে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া। বারেবারে অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠছে। এই ‘অস্বচ্ছতার জন্য যেসব আধিকারিক দায়ী, তাঁদের কেন শাস্তি হবে না? প্রশ্ন তুলেছেন অনেক চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। এই নিয়ে সাহেব আলি নামে এক চাকরি প্রার্থী বলেন, “আমরা চাই, একশাে শতাংশ স্বচ্ছতার সঙ্গে শিক্ষক নিয়ােগ করা হােক। মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরােধ, আমাদের দীর্ঘ যন্ত্রণার অবসান ঘটান।”

CommentTutupHere
close