Kode Iklan atau kode lainnya

ইন্টারভিউয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, বঞ্চিতরাও একটা সুযোগ পাবেন: SSC চেয়ারম্যান

 

নিউজ ডেস্ক: উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে দীর্ঘ দিনের জট কেটেছে গতকাল। সমস্ত মামলা মোকদ্দমা খতিয়ে দেখে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিয়েছে আর কোনো বাধা নেই রাজ্যের উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ঘোষণার পরেই আজ সাংবাদিক সম্মেলন করলেন এসএসসির চেয়ারম্যান। সেখানে রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ সম্পর্কে একাধিক বিষয় তুলে ধরেন। 

এসএসসির চেয়ারম্যান আরও জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক তালিকায় কেউ বঞ্চিত হয়েছেন মনে করলে এসএসসি অফিসে এসে হার্ড কপি দিয়ে আবেদন করা যাবে। এছাড়া রেজিস্ট্রি পোস্টে বা ইমেল করে অভিযোগ জানানো যাবে। আগামী মঙ্গলবার এসএসসির ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট অভিযোগ জানানোর ইমেল আইডি জানানো হবে। শুভশঙ্করবাবু আরও জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে যাঁরা পরীক্ষা দিয়েছিলেন পরে তাঁদের ৪০ বছর পেরিয়ে গেলেও যোগ্যপ্রার্থীরা চাকরি পাবেন। এর পরের নিয়োগের ক্ষেত্রেও তাঁদের বয়সে ছাড় দেওয়া হবে।

আজ এসএসসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘গতকালই হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ইন্টারভিউয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ১৫ জুলাই পর্যন্ত কোভিড বিধি বলবৎ আছে। আমরা তাঁর পরে ইন্টারভিউ নেওয়ার চেষ্টা করবো। কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই নেওয়া হবে ইন্টারভিউ। সেক্ষেত্রে এক সপ্তাহের মধ্যেই সিধান্ত নেওয়া হবে। যে সমস্ত প্রার্থীরা বঞ্চিত হয়েছেন বা নিজেদের বঞ্চিত মনে করছেন, তারাও একটা সুযোগ পাবেন। আদালতের দেওয়া সময়সীমার মধ্যে আবেদন করলে অগ্রাধিকার পাবেন।’

উচ্চ প্রাথমিকে শূন্যপদের সংখ্যা ১৪,৩৩৯টি। বিষয়, পাঠদানের মাধ্যম, ক্যাটিগরি, লিঙ্গ প্রভৃতি শর্ত মাথায় রেখে প্রতিটি পদের জন্য গড়ে ১.৪ জনকে ইন্টারভিউতে ডাকার কথা। তাই শূন্যপদের অনুপাতে সেখানে ডাক পাওয়ার কথা ছিল ২০,০৭৪ জনের। তবে, বাংলা, পিওর সায়েন্স এবং বায়োসায়েন্সের বিভিন্ন সংরক্ষিত পদে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত প্রার্থী পাওয়া যায়নি। সে জন্য ১৫,৪৫৫ জনের নাম ইন্টারভিউ তালিকায় প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছে কমিশন। তবে, একটা বিষয় পরিষ্কার। যদি প্রচুর প্রার্থীর অভিযোগ সঠিক প্রমাণ হয়, তাহলে শূন্যপদের সংখ্যা বাড়াতে হবে কমিশনকে। নয়তো সবাইকে সুযোগ দেওয়া সম্ভব হবে না। প্রার্থীদেরও একটা বড় অংশ সেই দাবি করে আসছে। যা যা অভিযোগ উঠেছে, তার মধ্যে সঠিকভাবে তথ্য আপলোড করা সত্ত্বেও আবেদন বাতিল হওয়ার নালিশ সবচেয়ে বেশি। এ নিয়ে কমিশনের সদর কার্যালয়ে এদিন বহু প্রার্থী বিক্ষোভও দেখান।

বিচারপতি নির্দেশে জানিয়েছেন, ২ সপ্তাহের মধ্যে অনলাইন এবং অফলাইনে নিজেদের অভিযোগ জানাতে পারবেন চাকরিপ্রার্থীরা৷ কমিশনের সচিব পর্যায়ের আধিকারিকদের সরাসরি অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ তালিকায় ভুল থাকলে কমিশনকে জানাতে পারবেন চাকরি প্রার্থীরা। 

২০১৬ সালের তালিকায় এখন নিয়োগ, তাই পাঁচ বছরের বয়সের ক্ষেত্রে ছাড় দিতে হবে। রাজ্যে অনেক চাকরি প্রার্থী রয়েছেন যারা এই চাকরীর দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেরই চাকরীর বয়সসীমা অতিক্রান্ত হয়েছে ৫ বছর। তাই এই সমস্ত প্রার্থীদের বয়সের ক্ষেত্রে ৫ বছর ছাড় দেওয়ার জন্য  রাজ্য সরকার ও কমিশনকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে ভেবে দেখবেন বলে আশা করছেন বিচারপতি। 

close