Kode Iklan atau kode lainnya

'উৎসশ্রী'র গাইডলাইনে খুশি নয় শিক্ষকেরা, অবিলম্বে আলোচনায় বসার দাবি


নিউজ ডেস্ক: নিজের জেলা বা নিজের বাড়ির কাছে বদলি চান বহু শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বহুদিন ধরে বিষয়টি আটকে ছিল। যদিও শিক্ষকদের আবেদন খতিয়ে দেখতে প্রকল্প চালু করছে রাজ্যে। শিক্ষকদের বাড়ির কাছে বদলির সুযোগ দিতে উৎসশ্রী প্রকল্প চালু করার ঘোষণা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "শিক্ষকদের জন্য চালু হচ্ছে উৎসশ্রী প্রকল্প।”

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যাঁরা নিজেদের জেলায় বদলি চান, বা বাড়ির সামনে কোনও স্কুলে তাঁদের ক্ষেত্রে। তবে দশজনে যদি এক জায়গায় চান, সেটা তো সম্ভব নয়। এটা অ্যাডজাস্ট-রিঅ্যাডজাস্ট করতে হবে। আমি আগেই বলেছিলাম, শিক্ষকদের যাতে দূরে যেতে না হয়। অন্তত যতটা সম্ভব তাঁদের কাছাকাছি করা যায় সেটা দেখার জন্য একটা পোর্টাল হচ্ছে। যেখান শিক্ষকরা নিজেরাই আবেদন করতে পারবেন। শিক্ষা দফতর সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। এই পোর্টালটির নাম উৎসশ্রী। যেহেতু শিক্ষার ব্যাপার এবং শিক্ষা সমস্ত কিছুর উৎস, তাই এটার নাম দেওয়া হয়েছে উৎসশ্রী।"

মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে সাধুবাদ জানাই রাজ্যের শিক্ষকরা। এরই মধ্যে বদলি বিষয়ের কার্যপ্রণালী নিয়ে বিস্তারিত গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। সেই গাইডলাইন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষকেরা। তাঁরা বলছেন এই নিয়মে শিক্ষকদের বড় অংশ, বিশেষ করে গ্রামের স্কুলে চাকরি করা শিক্ষকরা বঞ্চিত হবেন। এই অবস্থায় 'উৎসশ্রী' ট্রানস্ফার পোর্টাল চালু করার আগে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনার দাবি জানাচ্ছেন শিক্ষকরা।

শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “'উৎসশ্রী' ট্রানস্ফার পোর্টাল চালু করার আগে সমস্ত শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনা করে তা চূড়ান্ত করার দাবি জানাচ্ছি। না হলে বহু অসঙ্গতি থেকে যাবে এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের ক্ষোভ-বিক্ষোভ তৈরি হবে। একজন ব্যক্তির ট্রানস্ফার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে প্রধান শিক্ষকের হাতে চেকলিস্টের নামে যেভাবে অনেকগুলি ক্ষমতা দেওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে তাতে বোঝাই যাচ্ছে ট্রানস্ফার বিষয়টা কেবল ঢাক গুড় গুড়। বাস্তব বহুদূরে! স্বজনপোষণের দরজা খুলে রাখা হলো। যাঁদের সুবিধার জন্য এই ট্রানস্ফার প্রক্রিয়া, তাঁদের মতামত শোনা হবেনা কেন? আমরা দাবি করছি শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সুষ্ঠুভাবে যাতে তাঁরা ট্রান্সফারের সুযোগ পেতে পারেন এবং দীর্ঘ যন্ত্রনার হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হোক। যদি সত্যিই শিক্ষা দপ্তর তথা রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে আন্তরিক হন তাহলে এ দাবি মেনে ট্রানস্ফার সংক্রান্ত একটি সুষ্ঠু নীতি প্রণয়ন করবেন। নাহলে কোনমতেই এই সমস্যার বাস্তব সমাধান সম্ভব নয়।”

close