প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে প্রশ্নভুল সংক্রান্ত মামলা ডিস্পোজ করে দিল সিঙ্গেল বেঞ্চ, মামলার মিমাংসা ডিভিশন বেঞ্চে
নিউজ ডেস্ক: আজ প্রাথমিকের প্রশ্নভুল সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলা আদালতে উঠলো। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। এই সংক্রান্ত দুই মামলা ৪ ও ৫ নম্বর সিরিয়ালে লিস্টেড ছিল। বিচারপতি আজ প্রাথমিকের প্রশ্নভুল সংক্রান্ত মামলাটি ডিস্পোজ করলেন। প্রশ্ন ভুল মামলা সিঙ্গেল বেঞ্চ ডিস্পোজ করে দিলো। এই মামলায় কারা ৬ নম্বর পাবেন সেটা আর সিঙ্গেল বেঞ্চ দেখেবে না। সেটা ডিভিশন বেঞ্চ ঠিক করবে। আজকে বিচারক অভিজিৎ গাঙ্গুলি প্রাথমিকের প্রশ্ন ভুলের ৭৩৮ জন সংক্রান্ত মামলাটি ডিস্পোজ করে দিলেন। এখন ডিভিশন বেঞ্চে প্রশ্ন ভুলের মূল মামলার রায়ের উপরই নির্ভর করবে নিয়োগের অপেক্ষায় থাকা ৭৩৮ জনের ভবিষ্যৎ।
২০২০ সালের ২৩শে ডিসেম্বর ১৬,৫০০ জন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে পায়েল বাগ, ওয়াসিম আক্রাম মন্ডল, চিন্টু ছনাক সহ অনেকেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। পায়েল বাগ দাবি করেন ২০১৪ সালের TET এ ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিলো। যে সমস্ত পরীক্ষার্থী ঐ প্রশ্নগুলি উত্তর করার চেষ্টা করেছেন বা করছেন তাদের পুরো নম্বর দিতে হবে পর্ষদকে। ৬ নম্বরের পেলেই তারা মেধা তালিকায় চলে আসবেন। সেক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে চাকরি দিতে হবে উক্ত চাকরি প্রার্থীদের। পর্ষদ সূত্রে জানা গেছে, এমন ৭০০–র বেশি পরীক্ষার্থী প্রাথমিকে শিক্ষকপদে আবেদন করে আছেন।
গত শুনানির শুরুতে মামলাকারীদের আইনজীবি ৭৩৮ জনের নাম প্রকাশের সাপেক্ষে যুক্তি দিতে থাকেন। যদিও প্রাথমিক শিক্ষক পর্ষদের আইনজীবি এর তীব্র বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, এই ভাবে নামের লিস্ট বের করলে ভবিষ্যতে এর খারাপ প্রভাব পড়বে। কারণ নাম প্রকাশ করলে পরে আরও অসংখ্য কেস হবে। এখনও পর্যন্ত কোনও প্রার্থীর নাম প্রকাশ করা হইনি, যারা টেট পাস করেছে। তাছাড়া যে ৭৩৮ জনের কথা বলা হচ্ছে, এরা এখনও চাকরি পাইনি। এরা কেবল টেট পাশ করেছেন। এর পরে আরও কিছু ধাপ বাকি আছে। ভবিষ্যতে এরা নিয়োগপত্র পেলে সেটা অন্য ব্যাপার।
বিচারপতি পর্ষদের আইনজীবির কথায় কিছুটা সহমত পোষণ করেন। এরপর বিচারপতি বলেন এই মুহূর্তে আমি নামের লিস্ট প্রকাশ করার জন্য কোনও নির্দেশ দিচ্ছি না। এই নিয়ে আরও শুনানির দরকার আছে। এরপর বিচারপতি পরবর্তী শুনানির তারিখ দেন। বিচারপতি বলেন, আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি সশরীরে হবে। গুরুত্বপূর্ণ এই মামলাটি আজ ফের আদালতে ওঠে।
তবে এদিন মামলাটি ডিস্পোজ করে দিলেন বিচারপতি। এবার প্রশ্নভুল মামলাটি পর্ষদের করা মূল মামলার ডিভিশন বেঞ্চর রায়ের উপরেই নির্ভর করবে।এবার চাকরিপ্রার্থীদের মূল মামলা অর্থাৎ পর্ষদের মামলা দিকে বা ডিভিশন বেঞ্চের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।