শিক্ষকের চাকরি না পেয়ে শালবনীর মেধাবী প্রশান্ত অবসাদে বাড়িতে শেকলবন্দি

শিক্ষকের চাকরি না পেয়ে অবসাদে মানসিক অসুস্থতা এসেছে। বাড়িতে শেকলবন্দি শালবনীর মেধাবী প্রশান্ত। ছোট থেকেই পড়াশোনার প্রতি টান অন্যরকম। পরিবারের স্বপ্ন
  

নিউজ ডেস্ক: শিক্ষকের চাকরি না পেয়ে অবসাদে মানসিক অসুস্থতা এসেছে। বাড়িতে শেকলবন্দি শালবনীর মেধাবী প্রশান্ত। ছোট থেকেই পড়াশোনার প্রতি টান অন্যরকম। পরিবারের স্বপ্ন ছিল অনেক বড় হবে প্রশান্ত। বাড়ি বাঁকুড়ার জঙ্গল মহল। গরিব পরিবারের একমাত্র সন্তান প্রশান্ত মাণ্ডি। অভাবের মধ্যেও চলছিল পড়াশোনা। শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন ছিল। যদিও সেই সব এখন অতীত। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে বাড়িতে দু’পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় জীবন কাটাচ্ছে শিমলাপালের শালবনী গ্রামের বাসিন্দা প্রশান্ত মাণ্ডি।

রীতিমতো মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিল প্রশান্ত। পরীক্ষার নম্বরও বেশ ভাল তাঁর। পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্ম্মু মহাবিদ্যালয়ে স্নাতক পাশের পর চাকরির চেষ্টা শুরু করে প্রশান্ত। ২০১৬ সালে একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে পার্শ্ব শিক্ষকের চাকরির সুযোগ আসে। ডাক আসে ইন্টারভিউয়ের। মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে অনেক আশা নিয়ে ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছিলেন প্রশান্ত। 

যদিও সেদিন ইন্টারভিউ দিয়ে বাড়ি ফেরার পর প্রশান্ত পাল্টে যায়। সবার সঙ্গে কথা বন্ধ করে দেয় প্রশান্ত। কষ্টার্জিত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট এক এক করে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করে সে। পরিবারের লোকজন বোঝানোর চেষ্টা করে প্রশান্তকে। প্রশান্ত আর স্বাভাবিক হয়নি। তারপর থেকে মানসিক অবসাদে এক প্রকার গৃহবন্দি রয়েছেন প্রশান্ত। এখন ‘অসুস্থ’ এই ছেলেকে বাড়িতে লোহার শিকল পরিয়ে কাজে যান বৃদ্ধা মা! 

খবর প্রকাশ হতেই প্রশান্তের পরিবারকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে প্রশাসন। তাঁদের পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন সিমলাপাল থানার ভারপ্রাপ্ত আইসি- সহ তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি ও সিমলাপাল পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ। তাঁরা প্রশান্তের বাড়ি গিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্ত সুযোগ সুবিধা পরিবারকে দেওয়ার আশ্বাস দেন। দ্রুত চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করেন। এখন দেখার প্রশান্ত আদৌ কি স্বাভাবিক জীবনে আসেন কিনা! 

CommentTutupHere
close