স্কুলের পঠনপাঠন চালু, আবেদনের ভিত্তিতে বদলির সুযোগ, নিয়মিত নিয়োগ সহ বিভিন্ন দাবিতে ডেপুটেশন STEA-এর
নিউজ ডেস্ক: ১২-১৮ বছরের সকলকে ভ্যাকসিন দিয়ে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে পঠনপাঠন চালু, উৎসশ্রী পোর্টালে NOC ছাড়া সকলকে আবেদনের সুযোগ দেওয়া সহ বদলির বিভিন্ন দাবি ও শূন্যপদে নিয়মিত নিয়োগের দাবিতে আজ ২৭ জুলাই বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী দপ্তর, কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশন ও শিক্ষা সচিবকে ডেপুটেশন দিল "মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি (STEA)।"
নিচে উল্লেখিত দাবি গুলিতে আজ রাজ্যের শিক্ষক, শিক্ষিকা, লাইব্রেরিয়ান করণিক ও শিক্ষাকর্মী দের নিয়ে বিকাশ ভবন অভিযানের কর্মসূচি থাকলেও গতকাল বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ-প্রশাসন তা অগণতান্ত্রিকভাবে বাতিল করতে বাধ্য করে।
ফলে প্রশাসনের এই গণতান্ত্রিক আচরনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে আজ জমায়েত বাতিল করে প্রতিনিধিমূলক ডেপুটেশন দেওয়া হয়।
শিক্ষা দপ্তরের অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি (IAS) তরুণ মুখোপাধ্যায় দীর্ঘক্ষন ডেপুটেশনের দাবিগুলি নিয়ে আলোচনা করেন।
স্কুল খোলার ব্যাপারে অন্যান্য রাজ্যগুলির উপর লক্ষ রাখা হচ্ছে বলে জানান। তবে ১২- ১৮ বছরের শিক্ষার্থী ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করার দাবির সাথে একমত প্রকাশ করেন এ ব্যাপারে তাঁদের কিছু করার নেই বলে জানান।
উৎসশ্রী পোর্টালের যে গুরুত্বপূর্ণ দাবিগুলো তোলা হয় তা তিনি খুব গুরুত্ব সহকারে শোনেন এবং দপ্তরের মিটিংএ তুলে ধরবেন বলে জানান। তবে অনেকদিন পর যেহেতু পোর্টাল শুরু হচ্ছে তাই কিছুটা সময় দিতে বলেন।
সমিতির পক্ষে তাঁকে জানানো হয় NOC শর্ত ছাড়া 2 বছর বা তার বেশি চাকরিরত সকলেই যাতে স্বচ্ছভাবে আবেদন করতে পারেন তা দেখার জন্য এবং এই প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও নিয়মিত চালানোর কথা বলা হয়।
লাইব্রেরিয়ান দের বদলি, মর্যাদা, স্কেল, জব চার্ট সহ ১১ দফার দাবি সম্মলিত স্বারকলিপি নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং সকল দপ্তরে দাবিপত্র তুলে দেওয়া হয়।
এদিনের ডেপুটেশনে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র, দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদার, কলকাতা জেলা সম্পাদিকা শম্পা সরকার ও নদীয়া জেলা সম্পাদক গিরিজা শংকর রায়।
সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাজনৈতিক মিটিং, মিছিল ও ভোট প্রক্রিয়া চললেও কোভিড আইন দেখিয়ে যেভাবে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অধিকার হরণ করা হচ্ছে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হচ্ছে আমরা তার তীব্র নিন্দা করছি।
সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা, লাইবেরিয়ান, করণিক শিক্ষাকর্মীদের বদলি ও শূন্যপদে নিয়োগের দাবি শিক্ষা দপ্তর না কার্যকরী করলে আমরা ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাব।
*দাবি সমূহ:-*
♦️যুদ্ধকালীন গুরুত্ব ও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে *12 থেকে 18 বছর বয়সী ছাত্রদের ভ্যাকসিনেশন করে বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন চালু* করতে হবে।
*♦️."উৎসশ্রী"তে অনলাইনে আবেদনের ভিত্তিতে বদলির ক্ষেত্রে:-*
1) "উৎসশ্রী" পোর্টালে রাজ্যের সকল শিক্ষক, শিক্ষিকা, লাইব্রেরিয়ান, করনিক ও শিক্ষাকর্মীদের স্বচ্ছতার সাথে নিয়মিতভাবে আবেদনের ভিত্তিতে বদলির সুযোগ দিতে হবে।
2) এই পোর্টালে আবেদনের জন্য NOCকে শর্ত হিসেবে রাখা চলবে না।
3) দু'বছর ও তার বেশি চাকরিরত সকল শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীও লাইব্রেরিয়ানদের এই পোর্টালে আবেদন করার সুযোগ দিতে হবে।
4) প্রত্যেক আবেদনকারীকে পাঁচটি স্কুলের অপশন দিতে হবে।
5) পিজি টিচারদের এই পোর্টালের মাধ্যমে স্কুল পাওয়ার ক্ষেত্রে কোন সেকশন বার রাখা চলবে না।
6) জুনিয়ার হাই এবং নিউ সেটআপ আপার প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকদেরও এই পোর্টালে আবেদন করার সুযোগ দিতে হবে
*♦️ চলমান মিউচুয়াল ট্রানস্ফার পোর্টালের ক্ষেত্রে:-*
1) করনিক, শিক্ষাকর্মী ও লাইব্রেরিয়ানদের ক্ষেত্রেও মিউচুয়াল ট্রান্সফার পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে
2) পিজি টিচারদের ক্ষেত্রে এই পোর্টালে সেকশন বার তুলে দিতে হবে।
3) একাধিকবার মিউচুয়াল ট্রান্সফারে সুযোগ দিতে হবে।
4) ৩ বা ৪জনের মধ্যে অ্যারেঞ্জ মিউচুয়াল ট্রান্সফারে অনুমোদন দিতে হবে।
5) এই পোর্টালে ইতিমধ্যেই যাঁদের আবেদন পেন্ডিং হয়ে আছে তাঁদের দ্রুততার সাথে নিয়োগ পত্র দিতে হবে।
♦️ বদলির সাথে সাথে রাজ্যের স্কুল ও মাদ্রাসায়গুলিতে সকল শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়মিত করতে হবে।