তোরা যেখান থেকে পারিস নিয়ে আসবি। কোথায় পাবি তা আমি জানি না। আর যদি খালি হাতে আসিস তবে মজা দেখে নিবি। ঠাকুর মশাই বলল কি যে বলছ দাদা। ওদের কি দোষ। একসঙ্গে গিয়েছিল পাহাড়ে উঠতে। ওরা দুজনে উঠে পড়েছে।আনন্দ উঠতে পারে নি। তাই বলে ওদের ঘাড়ে দোষ দেওয়া ঠিক নয়।আর বল না ভায়া। ওরা বেড়াতে এসেছে তাই বলে জঙ্গলের পাহাড়ে উঠতে হবে। কি যে বলেন দাদা। ওদের মন চেয়েছিল তাই গিয়েছিলো। কিন্তু ওসব কথা বাদ দিন। আনন্দকে কিভাবে খুঁজে পাওয়া যায় তাই এখন ভাবতে হবে।
কমল ও সেলিম চলে গেলো। বিলুর প্রেমটা সদ্য জমে উঠছিল। কিন্তু তাও বারোটা বেজে গেলো। এই ঝামেলার মধ্যে তো আর প্রেম করা যাবে না। আর আনন্দকেও এই সময় হারাতে হল। ব্যাটা আমাদের ধোকা দিচ্ছে না তো। কে জানি। সেলিম ও আনন্দ চলে আসলো পাহাড়ের গায়ে হাতে ঠাকুর মশায়ের লাইসেন্স ওয়ালা গাদা বন্দুক নিয়ে।আনন্দ কে আটকে রাখা হয়েছে।
সে এখন নজরবন্দি হয়েছে। কিন্তু সে বহাল তবিয়তে আছে। ভালো ভালো খাবার খাচ্ছে দাচ্ছে, ঘুমাচ্ছে। আনন্দ এমনিতেই খেতে খুব ভালোবাসে। চেহারাখানি কয়েকদিন থাকায় বড় ভালো লাগছে। ঠিক ঠিক টাইমমতো খাবার পাচ্ছে। কোনো অসুবিধে নেই। এদিকে সেলিম ও কমল পাহাড়ের বনে জঙ্গলে খুঁজে খুঁজে অস্থির। চারিদিক খোজা হয়ে গেছে। পাহাড়ে বা কোনো জঙ্গলে নেই। সেলিম ও কমল গাছের তলায় বসে পড়ল। মনের দু:খে কেউ কারো সঙ্গে কথা বলছে না। কারণ আনন্দকে তারা হারিয়েছে। প্রাণ প্রিয় বন্ধু।কি যে হল কি ব্যাপার কিছুই বুঝতে পারছি না। কমল এমন সময় ছোট ছোট পাথর নিয়ে ফেলছে আর মুখ বুঝে মনে মনে নিজেকে দোষী সাব্যস্ত করছে।
কি করবে কোথায় খুঁজবে কিছুই বুঝতে পারছে না। হটাৎ করে এমন সময় ছুড়া পাথর গিয়ে পড়ল একটা গর্তের মুখে। গর্তটি বেশি বড় আকারের হবে না। তবে সাধারণ মানুষের প্রবেশ করা যাবে। কমল, সেলিম তাড়াতাড়ি গর্তের মুখের কাছে যায়।জায়গাটি ছিল পাহাড়ের মধ্যে সমান্তরাল। যেখানে আনন্দ হাটতে চেয়েছিল। কমল ও সেলিমের ভয় হতে থাকে পাহাড়ের গায়ে সমান্তরাল জায়গা এবং তাতে করে বড় গর্ত।প্রথমে গর্তছিল তা বোঝা যাচ্ছিল না কারণ বিভিন্ন গাছগাছালি এবং লতাপাতায় ঢাকা ছিল। সেলিম বলে ভাই কমল নেমে দেখবি গর্তের ভিতর কি আছে। তুই খেপেছিস নাকি। সাপ খোপ থাকলেও থাকতে পারে তো নাকি।কিন্তু দ্যাখ এখানে আনন্দও থাকতে পারে। আর তাছাড়া আমরা গর্তটা। কিসের তা দেখেই চলে আসব।
ধারাবাহিক ভাবে চলবে……