নিউজ ডেস্ক: পার্শ্বশিক্ষকদের একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন চলছে অনেক দিন ধরেই। রাজ্য জুড়ে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে কর্মরত শিক্ষকদের দাবি কোনও ভাবেই পূরণ না হওয়ায় সল্টলেকের বিকাশ ভবনের সামনে ধর্নায় বসেছেন রাজ্যের কয়েক হাজার পার্শ্ব শিক্ষক। সল্টলেকের বিকাশভবন প্রাঙ্গন যেন জন সমুদ্র।
দীর্ঘ পনেরো বছর ধরে কাজ করে গেলেও পার্শ্ব শিক্ষকদের সম্মান দেয়নি রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের রিপোর্টে অনুযায়ী, বেতন কাঠামো করলে আপার প্রাইমারির শিক্ষকরা পাবেন মাসে ৩৩ হাজার টাকা। আর প্রাইমারিতে পাবেন ২৬ হাজার টাকা। কিন্তু এখন প্রাইমারির পার্শ্ব শিক্ষকরা পাচ্ছেন মাসে মাত্র ১০ হাজার টাকা, আর আপার প্রাইমারিতে মাত্র ১৩ হাজার টাকা। ২০ হাজার টাকা কম! এই টাকা কোথায় যাচ্ছে? প্রশ্ন পার্শ্ব শিক্ষকদের। তাঁরা বলছেন, ‘তাহলে কি আমরা ধরে নেব, যে কাটমানির মতো কথা আমরা চারিদিকে শুনছি সেই কাটমানি রাজ্য সরকার নিচ্ছেন পার্শ্ব শিক্ষকদের পকেট কেটে?’
ফলে ন্যায্য দাবিতে সল্টলেকের বিকাশভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন রাজ্যের কয়েক হাজার পার্শ্ব শিক্ষকরা। এদিন পার্শ্ব শিক্ষকরা দাবি করেন, অবিলম্বে তাঁদের সহকারী শিক্ষকের মর্যাদা দিতে হবে। ভাতা দেওয়ার পরিবর্তে বেতন কাঠামোয় উন্নীত করতে হবে পার্শ্ব শিক্ষকদের। সহকারী শিক্ষকদের সমান মর্যাদা ও বেতন কাঠামো দিতে হবে তাঁদের।
কর্মরত পার্শ্ব শিক্ষকদের দাবি কোনও ভাবেই পূরণ না হওয়ায় সল্টলেকের বিকাশ ভবনের সামনে ধর্নায় বসার জন্য বিধাননগর পুলিশের অনুমতি চান প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষক। কিন্তু আইনশৃঙ্খলার দোহাই দিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই পার্শ্বশিক্ষকদের সল্টলেকের বিকাশভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি দিচ্ছিলনা বিধাননগর পুলিশ।
রবিবার হাইকোর্টে ছুটির দিন সত্বেও বিশেষ আদালত পার্শ্বশিক্ষকদের অবস্থান বিক্ষোভের শর্ত সাপেক্ষে অনুমতি দেয়। যদিও বিকাশভবনের পাশেই বিধান রায়ের মূর্তির সামনে করা যাবে অবস্থান অবস্থান। তবে পার্শ্বশিক্ষকদের সংখ্যা যেন কোনওভাবেই ৩০০-র বেশি না ছড়ায় সেটা দেখতে হবে। এছাড়া বাকিরা থাকবেন ৫০০ মিটার দূরে। পাশাপাশি অবস্থান বিক্ষোভ যেন মূল রাস্তায় না আসে তারও নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি।