নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ পাঁচ বছর রাজ্যের স্কুলগুলোতে উচ্চ প্রাথমিক স্তরে কোনো নিয়োগ হয়নি। ফলে শিক্ষকের অভাবে দারুন সমস্যায় পড়েছেন স্কুল কতৃপক্ষ। এরপর আদালতের নির্দেশে উচ্চ প্রাথমিকের প্রভিশোনাল মেরিট লিস্ট প্রকাশিত হলে তা নিয়েও একাধিক অভিযোগ তোলেন চাকরিপ্রার্থীরা। বর্তমানে হাইকোর্টের নির্দেশে থমকে রয়েছে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগের প্রক্রিয়া। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত স্বচ্ছ নিয়োগ এবং আপডেট সিটে নিয়োগের দাবিতে আবার শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের ডাকে পথে নামলেন হবু শিক্ষকেরা।
করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশন পর্যন্ত এই প্রতিবাদ মিছিল ছিল একেবারে নজরকাড়া। রং-বেরঙের পোশাকে ছৌ-নাচ, ধামসা-মাদল, তিরন্দাজের মতো আদিবাসী সংস্কৃতির প্রদর্শনীও এই মিছিলে দেখা যায়। পরে SSC অফিসের ১০০ মিটার দূরে ধর্ণা কর্মসুচী চলে৷
এ দিনের ব্যাপক কর্মসূচি থেকে তোলা দাবি নিয়ে শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মইদুল ইসলাম বলেন, “উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে গোটা রাজ্য জানে ব্যাপক কেলেঙ্কারি হয়েছে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের সুযোগ না দিয়ে অযোগ্য প্রার্থীদের পিছনের দরজা দিয়ে TET-র নম্বর বাড়িয়ে মেধাতালিকায় আনা হয়েছে। ফলে, হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী বঞ্চিত হয়েছে। হাইকোর্টে একাধিক মামলা হয়েছে। ১২ হাজারের বেশি যোগ্য প্রার্থী অভিযোগ দায়ের করেছেন। এখনও পর্যন্ত সেই যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়নি। সাত বছর নিয়োগ হয়নি৷ শূন্যপদের তালিকাও আপডেট করেনি। অর্থাৎ, শূন্যপদ বাড়েনি। তাই স্বচ্ছতার সঙ্গে মেধাতালিকা প্রকাশের দাবিতে, রেশিও মেইনটেইন করে, প্রকৃত TET ফিরিয়ে, শূন্যপদ বাড়িয়ে নিয়োগের দাবিতে আজকের এই বর্ণাঢ্য মিছিল।”
মহিদুল ইসলাম আরও বলেন, “এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে প্রথম থেকে পুলিশ প্রশাসন বাধা দিচ্ছিল ৷আন্দোলনের অনুমতি দেয়নি৷ পরে আমরা হাইকোর্টে মামলা করলে বিচাপতি মামলা গ্রহণ করতে মাত্র ১ দিনের আন্দোলনের অনুমতি দেয়৷ কিন্তু আমরা ১০ দিনের জন্য লাগাতার ধর্ণা কর্মসুচীর অনুমতি চাই৷ সেজন্য আগামিকাল কোর্টে আবার মামলার শুনাণী আছে৷আজ মামলার রায় না পেলে যেহেতু মামলা পেন্ডিং ছিল আমরা তা লিখিতভাবে বিধাননগর কমিশনকে জানাই যাতে আমাদের ধর্ণার অনুমতি বাড়ানো হয়৷ কিন্তু পুলিশ তা না করে জোর করে আমাদের তুলে দেয়৷ আমরা চাকরীপ্রার্থিদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আর আইন মেনে আজ ধর্ণা সাময়িকভাবে তুলে নি৷ কিন্তু আমাদের আন্দলনকারী চাকরীপ্রার্থিরা কলকাতায় বিভিন্ন জায়গায় আছে শিয়ালদহ, হাওড়া,মৌলালির বিভিন্ন জায়গাতে৷ আগামিকাল হাইকোর্টের অর্ডার নিয়ে আবার ধর্ণা/অনশন শুরু হবে যতক্ষন পর্যন্ত দাবী আদায় না হবে৷ আজ কমিশন ও প্রশাসনের একটা অংশ বিভিন্নভাবে কিছু চাকরীপ্রার্থিকে ঘুরপথে সেটিং করছিল আন্দোলনকে ভুলপথে পরিচালিত করার জন্য৷ কিন্তু আমরা তা আটকে দিয়েছি৷ আমরা ঐক্যবদ্ধ আমাদের দাবী আন্দোলনের মাধ্যমেই আদায় করবই।”