নিউজ ডেস্ক: আবারও বড় অনশন আন্দোলন দেখতে চলেছে রাজ্য। উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্ণীতি, হাজার হাজার যোগ্য চাকরীপ্রার্থী বঞ্চিত করে মেধাকে উপেক্ষা করে অযোগ্য প্রার্থীদের মেরিট লিস্টে জায়গা দেওয়া প্রভৃতি অভিযোগে আবারও একবার রাস্তায় নামতে চলেছেন চাকরি প্রার্থীরা। শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের ডাকে ব্যাপক আন্দোলনের ডাক হবু শিক্ষকদের।
এর আগে গত ১৮ ই নভেম্বর স্কুল সার্ভিস কমিশন অভিযান করে চাকরি প্রার্থীদের বড় অংশ৷ শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মইদুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান আমাদের ১০ প্রতিনিধির দেওয়া প্রমাণ ও তথ্যের উপর ভিত্তি করে কার্যত স্বীকার করেন দুর্ণীতি হয়েছে৷ আন্দোলনের চাপে ২৫ শে নভেম্বর আমাদের সাথে বৈঠকের কথা দিয়েও বাতিল করেন৷ আমরা গত কর্মসুচী ও পুলিশের অনুমতি না পেয়ে হাইকোর্টের অর্ডারে কর্মসুচী করেছিলাম৷ আরো চরম আন্দোলনের জন্য গত ১৯ শে নভেম্বর বিধাননগর কমিশনার ও পুলিশকে আগামি ২রা ডিসেম্বর থেকে ১০ দিনের ধর্ণা কর্মসুচীর অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছিলাম৷ কিন্তু প্রশাসন গণতান্ত্রিক আন্দোলন বাধা দিচছে ফলে আমাদের অনুমতি হ্যা বা না কোনো কিছু আজ অব্দি জানায়নি৷ গত ২৬ তারিখ ও ২৭ শে নভেম্বর আবার আমরা কর্মসুচীর জন্য রিমাইন্ডার চিঠি পাঠাই৷ তার ও উত্তর আসেনি ফলে দ্রুততার সাথে হাইকোর্টের মানণীয় বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করি এবং আর্জেন্সি মেনশণ করি৷ বিচারপতি আমাদের লিভ পিটিশনের অনুমতি দেন এবং আজ শুনাণীর জন্য তালিকাভুক্ত ছিল কিন্তু হাইকোর্ট আজ বিশিষ্ট আইনজীবির মৃত্যুতে কর্ম বিরতি হয়৷ পরে বিচারপতি মামলা গ্রহণ করতেই প্রশাসন অনুমতি দিতে বাধ্য হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রশাসনের শত চেষ্টা সত্বেও দুর্ণীতির বিরুদ্ধে দ্রুততার সাথে যোগ্য প্রার্থিদের রেশিও মেইনটেইন করে সিট বাড়িয়ে নিয়োগের দাবীতে আমাদের কর্মসুচী হবে৷ এই আন্দোলন শেষ আন্দোলন দাবী আদায়ের ক্ষেত্রে ধরে আমরা এটা জনআন্দোলনে পরিণত করব শিক্ষার স্বার্থে৷ এই দুর্ণীতির ফলে এই প্রজন্ম তথা আগামি প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে৷ দীর্ঘ ৭ বছর ধরে একটা নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে তাও কোর্টের অর্ডারে মেরিট লিষ্ট প্রকাশের পরেও এত দুর্ণীতি!
একই সঙ্গে সংগঠনের পক্ষ থেকে সমস্ত চাকরি প্রার্থীদের কাছে আবেদন করা হচ্ছে, নিজেদের জীবন জীবিকার স্বার্থে আগামি ২রা ডিসেম্বর থেকে ধর্ণা/ অবস্থান/ অণশন কর্মসুচীতে ব্যাপক উপস্থিতির মাধ্যমে নিজের অধিকার নিজে রক্ষা করার সাথে যোগ্যতার সাথে চাকরী আদায় করেই ফিরে যান।